হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে মাছের পাশাপাশি হুহু করে বাড়ছে বিভিন্ন সবজি,আলু,ব্রয়লার মোরগী, ডিম,চিনি,পেয়াজ, রসুন,এল,পি,জি গ্যাস, সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম।সরকার মুল্য নির্ধারনের পরেও কমেনি আলু,পেয়াজ আর ডিমের দাম।যা এখন আকাশ ছোঁয়া ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।।গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এতে করে পড়েছেন মহা বিপাকে। সবজির দাম বেড়ে হয়েছে গ্রায় দ্বিগুণ ।পণ্যের দামে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ নাভীশ্বাস।
এক সপ্তাহ আগে পটল,জিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ভরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,চাল কুমড়া,কচু,কঁচুর লতা,কচুর চড়া,কাঁচা পেপে,ঢেঁড়শ,কাঁচকলা,করল্লা, বেগুন, আলু সহ অন্যান্য সবজি যে দামে বিক্রি হতো বর্তমানে প্রতিটি পণ্যেরই কেজিতে দাম বেড়ে গেছে। সবজির সাথে তাল মিলয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ,রসুন,আদার দাম। পাশাপাশি চিনি ও মাছের দামওতো বাড়ছেই।
অপরদিকে কিছুদিন আগে রান্নার এল,পি,জি প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস সরকারী ভাবে ৯৯৯ টাকা দরে বিক্রি করার সরকারী ভাবে সিদ্ধান্ত হলেও বর্তমানে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১২৮০ থেকে ১৪২০ টাকা।
সরেজমিনে আজমিরীগঞ্জ, পাহাড় পুর, জলসুখা ,শিবপাশা সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়
সবজির খুচরা মুল্য জানা যায় কাঁচামরিচ ১২০, টমেটো ১২০, করলা ৬০, পেপে ৩০, পটল ৫০ মুলা ৫০, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, কাকরুল ৮০
জিঙা ৭০, নতুন মুকি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশীয় হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা,দেশীয় মোরগীর ডিম ৮০ টাকা,লেয়ার বা লালডিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালি ধরে বিক্রি হচ্ছে।কয়দিন আগেও যে ব্রয়লার মোরগী ১২০/১৩০ টাকা বিক্রি হতো তা এখন প্রতিকেজি ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আজমিরীগঞ্জ প্রশাসন থেকে সরকার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করতে বলায় খুজে পাওয়া যাচ্ছে না আলু। আজমিরীগঞ্জ বাজারে আলুর সংকট দেয়া দিয়েছে । অনান্য গ্রাম্য বাজারে ৬০টাকা দামে আলু বিক্রি হচ্ছে । এই নিয়ে আজমিরীগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যাবসায়ী
ইনসাফ ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার আনিসুর রহমান বলেন উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে আলু প্রতি কেজি ৩৬ টাকা বিক্রি করার জন্য যেখানে আমাদের জেলা শহর থেকে পাইকারি দর ধরা হয় ৪২ টাকা তার সাথে যাতায়াত খরচ সহ দাড়ায় ৪৩/৪৪ টাকা । আমরা বিক্রি করতে পারি ৪৫/৪৬ টাকা, যেখানে খুচরা বিক্রেতারা ৫০ / ৫৫ টাকা বিক্রি করতে হয়। প্রশাসনের দেয়া রেটে আলু না পাওয়ায় আমরা আলুর গাড়ি ফেরৎ দিয়েছি, আজকে বাজারে কোন আলু নেই।
তবে বিক্রেতাদের দাবি দেশের পরিস্থিতির কারণে দাম বেশি দিয়ে আনতে হয়,তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন,ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।