ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লা সীমান্তে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙাতে ভক্তরা দক্ষিণায়নে পটুয়াখালীতে আবারও নার্স ও মিডওয়াইফদের কর্মবিরতি; ভােগান্তিতে রোগীরা পটুয়াখালীতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা , হুমকির মুখে পরিবার পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ। অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হলেন কাউন্সিলর রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন যে সকল সরকারি কর্মকর্তাগন মুরাদনগরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

হাইস্কুলের কৃষি শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন পর নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি মডেল হাইস্কুলের কৃষি শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন পর নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। স্কুলের ভেতর এবং বাহিরে এখন নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ২০১১ সালের নভেম্বরে স্কুলে কৃষি বিষয়ের একজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষায় বাহুবল উপজেলার রশিদপুর এলাকার রঞ্জিত কুমার দেবের পুত্র রনি কুমার দেব মনোনীত হন এবং তিনি যথারীতি স্কুলে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরই তার সরকারি চাকুরি হলে তিনি স্কুলের শিক্ষক পদ হতে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ইসহাক মিয়ার সময়কালে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পূন:রায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই বিগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য গোলাম মহিউদ্দিনকে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এনিয়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের মাঝেও তৎকালীন সময়ে আলোচনা সমালোচনা চলছিল। কিন্তু নিজের চাকুরির স্বার্থে কেউ প্রতিবাদ করেননি। এ নিয়ে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবুল ফজলও তার নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন। এই অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া গোলাম মহিউদ্দিন আজও স্বপদে বহাল থেকে চাকুরি করে আসছেন। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারো গোলম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে নতুন করে স্কুলের ভেতর বাইরে আলোচনা সমালোচনা মুখরিত হচ্ছে। এদিকে একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগের পর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে স্কুলের লাইব্রেরীয়ান হিসেবে খন্ডকালীন নিয়োগ করা হয়। পরে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি আবেদন করেন এবং যথারীতি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তও হন। পরবর্তীতে তার নিয়োগের বিপরীতে এমপিও ভুক্তির জন্য ডিজি বরাবর প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি প্রেরণ করলে যাচাই বাছাইয়ে তার লাইব্রেরীয়ান যোগ্যতার সনদপত্র জাল বলে প্রমাণিত হলে এমপিও আর হয়নি। এমনকি তার নিয়োগও বাতিল হয়। পরে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে লাইব্রেরী সনদ অর্জন করার পর ২০১৬ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রণয় চন্দ্র দেবের প্রক্রিয়ায় পরবর্তী নিয়োগ পরীক্ষায় তাহমিনা আক্তার অংশ গ্রহণের প্রাক্কালে ৩ লক্ষ টাকায় লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ হচ্ছে মর্মে পত্রপত্রিকাসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিত হলেও তাহমিনা আক্তার দীর্ঘদিন খন্ডকালীন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানতে চাইলে গোলাম মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এরিয়ে গিয়ে স্ত্রী খন্ডকালীন চাকুরি করেননি বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা সীমান্তে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

হাইস্কুলের কৃষি শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন পর নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে

আপডেট সময় ০২:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দীননাথ ইনস্টিটিউশন সাতকাপন সরকারি মডেল হাইস্কুলের কৃষি শিক্ষক গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন পর নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। স্কুলের ভেতর এবং বাহিরে এখন নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ২০১১ সালের নভেম্বরে স্কুলে কৃষি বিষয়ের একজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষায় বাহুবল উপজেলার রশিদপুর এলাকার রঞ্জিত কুমার দেবের পুত্র রনি কুমার দেব মনোনীত হন এবং তিনি যথারীতি স্কুলে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরই তার সরকারি চাকুরি হলে তিনি স্কুলের শিক্ষক পদ হতে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ইসহাক মিয়ার সময়কালে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পূন:রায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই বিগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য গোলাম মহিউদ্দিনকে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এনিয়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের মাঝেও তৎকালীন সময়ে আলোচনা সমালোচনা চলছিল। কিন্তু নিজের চাকুরির স্বার্থে কেউ প্রতিবাদ করেননি। এ নিয়ে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবুল ফজলও তার নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন। এই অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া গোলাম মহিউদ্দিন আজও স্বপদে বহাল থেকে চাকুরি করে আসছেন। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারো গোলম মহিউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে নতুন করে স্কুলের ভেতর বাইরে আলোচনা সমালোচনা মুখরিত হচ্ছে। এদিকে একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা গোলাম মহিউদ্দিনের নিয়োগের পর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে স্কুলের লাইব্রেরীয়ান হিসেবে খন্ডকালীন নিয়োগ করা হয়। পরে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি আবেদন করেন এবং যথারীতি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তও হন। পরবর্তীতে তার নিয়োগের বিপরীতে এমপিও ভুক্তির জন্য ডিজি বরাবর প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি প্রেরণ করলে যাচাই বাছাইয়ে তার লাইব্রেরীয়ান যোগ্যতার সনদপত্র জাল বলে প্রমাণিত হলে এমপিও আর হয়নি। এমনকি তার নিয়োগও বাতিল হয়। পরে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে লাইব্রেরী সনদ অর্জন করার পর ২০১৬ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রণয় চন্দ্র দেবের প্রক্রিয়ায় পরবর্তী নিয়োগ পরীক্ষায় তাহমিনা আক্তার অংশ গ্রহণের প্রাক্কালে ৩ লক্ষ টাকায় লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ হচ্ছে মর্মে পত্রপত্রিকাসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিত হলেও তাহমিনা আক্তার দীর্ঘদিন খন্ডকালীন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানতে চাইলে গোলাম মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এরিয়ে গিয়ে স্ত্রী খন্ডকালীন চাকুরি করেননি বলে জানান।