ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা! হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মির্জাপুরের প্রাক্তন ওসি সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো হুমকি নেই : মাইনুল হাসান পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে মারধর, থানায় অভিযোগ পটুয়াখালীতে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে জেলা সমাজসেবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভা। মুফতি হাফিজুদ্দীন দা. বা.। জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানে সাঁথিয়ার কৃষকেরা, উঠছেনা উৎপাদন খরচও

সোনালী আঁশের ভান্ডার খ্যাত পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা । পাবনা জেলায় উৎপাদিত পাটের অধিকাংশই এ এলাকাতে উৎপাদিত হয়ে থাকে । কিন্তু হঠাৎই পাটের দাম অত্যধিক কমে যাওয়ায় শংকিত এ এলাকার কৃষকেরা ।হঠাৎই মনপ্রতি প্রায় ১০০০ টাকা কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।

কৃষকেরা জানান, বিগত বছরবছরগুলোতে পাটের দাম মোটামুটি ভালই ছিল । বিক্রি করে তারা ভালো দামও পেত । বিগত বছরের তুলনায় বীজ, কীটনাশক ও চাষের মুল্য বেড়ে যাওয়ার পরেও লাভের আশায় তারা বেশি পরিমাণে পাট চাষ করেছিল । কিন্তু হঠাৎই পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।পাটের দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কাআশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

এর ফলে আগামীতে পাট চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেক কৃষক ।

কৃষকেরা জানান, গত বছরে প্রায় ৩ হাজার টাকা মন পাট বিক্রি করেছিল তারা । তাতে মোটামুটি লাভের মূখ দেখেছিল তারা । কিন্তু এ বছর ২ হাজার টাকার কম দরে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের ।

এছাড়া পাটের মান ভেদে কিছু কিছু পাট ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে ও বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের ।অথচ উৎপাদন খরচ মনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়েছে তাদের ।

তারা আরও জানান, গত বছর তাদের বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছিল দশ থেকে ১৫ হাজার টাকা।আর এ বছর তাদের খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার বেশি ।

পাটের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষকেরা জানান, চলতি বছর পাট উৎপাদনে ধাপে ধাপে খরচ করতে হয়েছে তাদের । বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে ।পার্শ্ববর্তী খাল বিলে পানি না থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে অনেককেই ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি বছরে সাঁথিয়া উপজেলা তে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর । কিন্ত মোট পাট আবাদ হয়েছিল ৭ হাজার ৮৪৫হেক্টর ।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক হোসেনে জানান, অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় এবং খরার কারনে এ বছর পাটের উৎপাদন কম হয়েছে । তিনি বলেন বিগত বছর প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২মন পাট পাওয়া গেলেও এ বছর উৎপাদিত হয়েছে ৭ থেকে ৮ মন । এছাড়াও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট জাগ ও ছড়াতে বেশি শ্রমিকের দরকার হয়েছে । সব মিলিয়ে খরচও কিছুটা বেশিই হয়েছে কৃষকের ।

কিন্ত এই মুহূর্তে পাটের উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন।

পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানে সাঁথিয়ার কৃষকেরা, উঠছেনা উৎপাদন খরচও

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সোনালী আঁশের ভান্ডার খ্যাত পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা । পাবনা জেলায় উৎপাদিত পাটের অধিকাংশই এ এলাকাতে উৎপাদিত হয়ে থাকে । কিন্তু হঠাৎই পাটের দাম অত্যধিক কমে যাওয়ায় শংকিত এ এলাকার কৃষকেরা ।হঠাৎই মনপ্রতি প্রায় ১০০০ টাকা কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।

কৃষকেরা জানান, বিগত বছরবছরগুলোতে পাটের দাম মোটামুটি ভালই ছিল । বিক্রি করে তারা ভালো দামও পেত । বিগত বছরের তুলনায় বীজ, কীটনাশক ও চাষের মুল্য বেড়ে যাওয়ার পরেও লাভের আশায় তারা বেশি পরিমাণে পাট চাষ করেছিল । কিন্তু হঠাৎই পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।পাটের দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কাআশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

এর ফলে আগামীতে পাট চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেক কৃষক ।

কৃষকেরা জানান, গত বছরে প্রায় ৩ হাজার টাকা মন পাট বিক্রি করেছিল তারা । তাতে মোটামুটি লাভের মূখ দেখেছিল তারা । কিন্তু এ বছর ২ হাজার টাকার কম দরে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের ।

এছাড়া পাটের মান ভেদে কিছু কিছু পাট ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে ও বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের ।অথচ উৎপাদন খরচ মনপ্রতি ২ হাজার ৪০০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়েছে তাদের ।

তারা আরও জানান, গত বছর তাদের বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছিল দশ থেকে ১৫ হাজার টাকা।আর এ বছর তাদের খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার বেশি ।

পাটের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষকেরা জানান, চলতি বছর পাট উৎপাদনে ধাপে ধাপে খরচ করতে হয়েছে তাদের । বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে ।পার্শ্ববর্তী খাল বিলে পানি না থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে অনেককেই ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি বছরে সাঁথিয়া উপজেলা তে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর । কিন্ত মোট পাট আবাদ হয়েছিল ৭ হাজার ৮৪৫হেক্টর ।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক হোসেনে জানান, অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় এবং খরার কারনে এ বছর পাটের উৎপাদন কম হয়েছে । তিনি বলেন বিগত বছর প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২মন পাট পাওয়া গেলেও এ বছর উৎপাদিত হয়েছে ৭ থেকে ৮ মন । এছাড়াও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট জাগ ও ছড়াতে বেশি শ্রমিকের দরকার হয়েছে । সব মিলিয়ে খরচও কিছুটা বেশিই হয়েছে কৃষকের ।

কিন্ত এই মুহূর্তে পাটের উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের ।