কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ৬ শিক্ষার্থীকে আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রশাসন মাঠে ৫০তম জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কাবাডি ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে কোটবাড়ি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়।
উক্ত ঘটনায় আহতরা হলেন, বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির রাজু, ৮ম শ্রেণির নাজমুল হাসান, ৯ম শ্রেণির মোহাম্মদ হোসেন জিতু ও মাজিদ, ১০শ্রেণির সাজ্জাদ হোসেন ও সামী।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে মধ্যে খেলা শুরুর প্রস্তুতি চলছিল। এসময় দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরা কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়।
ঘটনার পর সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শান্তনা দেন। এবং সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন।
বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দাশ বলেন, হামলার ঘটনার আমার স্কুলের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল প্রধান শিক্ষক রোকসানা মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানিনা। আমার স্কুলের কেউ আহত হয়েছে বলে জানিনা। দুজন শিক্ষকের নেতৃত্বে খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুধু খেলোয়াড়দের পাঠিয়েছি। যেসব শিক্ষার্থী বাড়তি গিয়েছে তাদের কোন অনুমতি দেইনি। কেউ যদি ঘটনার সাথে জড়িত থাকে ব্যবস্থা নেব। আর আগামীকাল মিটিংয়ের পর বিস্তারিত বলতে পারবো।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব জানান, দুই স্কুল প্রধানসহ দায়িত্বশীলদের মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে। জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দীন বলেন, আমাদের হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছে। তিনজন বেশি আহত ছিল। একজনের শরীরে বড় আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ তারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার একটা ঘটনা নিয়ে তারা বাকবিতন্ডায় জড়ায়। তবে কি ঘটনা হয়েছিল তা বলতে পারবো না। এ ঘটনায় বামিশা হাজী আকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ছিল শুনেছি।
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম জানান, আমি এসময় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে ছিলাম। ঘটনা শুনেছি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসবো। ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।