ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা! হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মির্জাপুরের প্রাক্তন ওসি সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো হুমকি নেই : মাইনুল হাসান পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে মারধর, থানায় অভিযোগ পটুয়াখালীতে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে জেলা সমাজসেবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভা। মুফতি হাফিজুদ্দীন দা. বা.। জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল সাম্মাম

 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরে এখন চাষ হচ্ছে মরুভূমির দেশের ফল সাম্মাম। সাম্মাম দেখতে অনেকটা তরমুজের মত, তবে এর ঘ্রাণ বাঙ্গির মতো। ওপরটা ধূসর ভিতরটা হলুদ। তবে ভালো মিষ্টি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মাঠে চাষ করা হয়েছে সাম্মাম। বলরামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন এ ফল চাষ করেছেন। সাম্মাম কিনতে ও দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং সিটের ভিতরে চারা লাগিয়েছেন। মাচায় গাছ তুলে দেয়া হয়েছে। নেটে বাধা হয়েছে ছোট বড় সাম্মাম। হালকা বাতাসে দুলছে সারি সারি সাম্মাম। কোনটির ওজন তিন কেজির বেশি। ক্ষেত জুড়ে পাকা সাম্মাম ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে। ক্ষেতের পাশে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।

সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মনির হোসন বলেন, অনলাইনে সাম্মাম দেখেছেন। কখনও এই ফল খাননি। তাই তিনি এ ফলটি কিনতে এসেছেন।

বলরামপুর গ্রামের মোজ্জামেল হক বলেন, এ ফল দেখতে সুন্দর এবং খেতেও বেশ মিষ্টি।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ফল আসতে ৯০দিন সময় লাগে। সাম্মাম দেখতে ধূসর রঙের হলেও এটির ভিতরে হলুদ ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। তিনি ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করেছেন। তার এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনি বিক্রি শুরু করেছেন।
আশা করছেন তিন লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিদিন সাম্মাম কিনতে ও দেখতে মানুষ ভিড় করছেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি মরুর অঞ্চলের ফল। সেখানে এটিকে সাম্মাম বলে। এটিকে কেউ রকমেলন বা সুইটমেলনও বলে। সাম্মামে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি।
তিনি বলেন আনোয়ার হোসেন উদ্যোমী চাষি। এর আগেও তিনি কালো ও হলুদ তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল সাম্মাম

আপডেট সময় ০৬:২০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরে এখন চাষ হচ্ছে মরুভূমির দেশের ফল সাম্মাম। সাম্মাম দেখতে অনেকটা তরমুজের মত, তবে এর ঘ্রাণ বাঙ্গির মতো। ওপরটা ধূসর ভিতরটা হলুদ। তবে ভালো মিষ্টি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মাঠে চাষ করা হয়েছে সাম্মাম। বলরামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন এ ফল চাষ করেছেন। সাম্মাম কিনতে ও দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং সিটের ভিতরে চারা লাগিয়েছেন। মাচায় গাছ তুলে দেয়া হয়েছে। নেটে বাধা হয়েছে ছোট বড় সাম্মাম। হালকা বাতাসে দুলছে সারি সারি সাম্মাম। কোনটির ওজন তিন কেজির বেশি। ক্ষেত জুড়ে পাকা সাম্মাম ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে। ক্ষেতের পাশে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।

সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মনির হোসন বলেন, অনলাইনে সাম্মাম দেখেছেন। কখনও এই ফল খাননি। তাই তিনি এ ফলটি কিনতে এসেছেন।

বলরামপুর গ্রামের মোজ্জামেল হক বলেন, এ ফল দেখতে সুন্দর এবং খেতেও বেশ মিষ্টি।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ফল আসতে ৯০দিন সময় লাগে। সাম্মাম দেখতে ধূসর রঙের হলেও এটির ভিতরে হলুদ ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। তিনি ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করেছেন। তার এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনি বিক্রি শুরু করেছেন।
আশা করছেন তিন লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিদিন সাম্মাম কিনতে ও দেখতে মানুষ ভিড় করছেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি মরুর অঞ্চলের ফল। সেখানে এটিকে সাম্মাম বলে। এটিকে কেউ রকমেলন বা সুইটমেলনও বলে। সাম্মামে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি।
তিনি বলেন আনোয়ার হোসেন উদ্যোমী চাষি। এর আগেও তিনি কালো ও হলুদ তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।