ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা! হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মির্জাপুরের প্রাক্তন ওসি সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো হুমকি নেই : মাইনুল হাসান পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে মারধর, থানায় অভিযোগ পটুয়াখালীতে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে জেলা সমাজসেবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভা। মুফতি হাফিজুদ্দীন দা. বা.। জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

কুমিল্লায় পরকীয়া দেখে ফেলায় খুন করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় যুবকের লাশ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রহস্যজনকভাবে সাখাওয়াত হোসেন সাকিব (২২) নামে যুবক খুন হয়েছেন। পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। জানা যায়, পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় জীবন দিতে হলো সাকিবকে।

১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নাপিতের বাড়ি সংলগ্ন স্কুলের পিছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে সাকিবের লাশ দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত সাখাওয়াত হোসেন সাকিবের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ উপ-পরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাসের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার মফিজুল ইসলাম (৫৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

ঘাতক মফিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। মফিজুল নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মজুমদার বাড়িতে ইব্রাহীমের ঘরের ভাড়াটিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক মফিজুল স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জানায়, একই গ্রামের এক নারীর সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি সাকিব দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে এবং ওই নারীর সংসার ভেঙে যাবে এ আশংকায় তারা সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মফিজুল ইসলাম লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ১ সেপ্টেম্বর রাতে সাকিবকে খাওয়ায়। এর ফলে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে গেলে তাকে মধ্যরাতে মফিজুল ইসলাম ও ওই নারী বাড়ির বাইরে নিয়ে গামছা দিয়ে সাকিবের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মফিজুল ও ওই নারী সেপটিক ট্যাংকে সাকিবের মরদেহ ফেলে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে মফিজুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন।

কুমিল্লায় পরকীয়া দেখে ফেলায় খুন করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় যুবকের লাশ

আপডেট সময় ০৯:১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রহস্যজনকভাবে সাখাওয়াত হোসেন সাকিব (২২) নামে যুবক খুন হয়েছেন। পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। জানা যায়, পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় জীবন দিতে হলো সাকিবকে।

১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নাপিতের বাড়ি সংলগ্ন স্কুলের পিছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে সাকিবের লাশ দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত সাখাওয়াত হোসেন সাকিবের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ উপ-পরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাসের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার মফিজুল ইসলাম (৫৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

ঘাতক মফিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। মফিজুল নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মজুমদার বাড়িতে ইব্রাহীমের ঘরের ভাড়াটিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক মফিজুল স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জানায়, একই গ্রামের এক নারীর সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি সাকিব দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে এবং ওই নারীর সংসার ভেঙে যাবে এ আশংকায় তারা সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মফিজুল ইসলাম লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ১ সেপ্টেম্বর রাতে সাকিবকে খাওয়ায়। এর ফলে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে গেলে তাকে মধ্যরাতে মফিজুল ইসলাম ও ওই নারী বাড়ির বাইরে নিয়ে গামছা দিয়ে সাকিবের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মফিজুল ও ওই নারী সেপটিক ট্যাংকে সাকিবের মরদেহ ফেলে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে মফিজুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।