ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ। দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু : আইজিপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মটর চালক দলের ভোলা জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা জামাই-শ্বশুর মিলে সোনালী লাইফের ৩৫৩ কোটি লুট সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর স্বামী-স্ত্রীর মরদেহের পাশে পড়ে ছিল চিরকুট। স্টার কাবাবে বাসি খাবার, প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত গ্রাহক

বদলীর পর অফিসের এসি খুলে নিলেন বাহুবল থানার সাবেক ওসি রাকিবুল

বদলির পর হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান থানায় লাগানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গেছেন

গত ৭ আগস্ট পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওসি রাকিবুল ইসলাম খানকে প্রথমে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পরে মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়।বদলীর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী এমপির সরকারি অনুদানের টাকায় বরাদ্দ দেওয়া বাহুবল মডেল থানায় লাগানো এসিটি খুলে নিয়ে যান ওসি রাকিবুল ইসলাম খান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানায় যোগদান করা নতুন ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমি সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি। যোগদানের পর অফিসে এবং বাসায় কোনো এসি পাইনি। সরকারি অনুদানে কোনো এসি ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আমি সরকারি বরাদ্দকৃত এসি আমি অফিসের জন্য দিয়েছি। কিন্তু সাবেক ওসি তা খুলে নেবে কেন?

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও অফিসে চা চক্রের এক পর্যায়ে বিষয়টি এমপির নজরে দিলে তিনি এসি খুলে নেওয়ার ঘটনা শুনে রাগান্বিত হন এবং রাকিবুলের প্রতি ভৎর্সনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক এম রশিদ আহমেদ, যুবলীগের জাবেদ, নুরুল ইসলাম নুর ও নতুন ওসি মশিউর রহমান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসি খুলে নেওয়া সাবেক ওসি রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অফিসে কোনো এসি ছিল না এবং বাসারটা ছিল আমার নিজের।
অথচ থানার ওসির অফিসকক্ষে এসি লাগানোর ছবি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং খুলে নেওয়ারও আলামত বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করলেন কেন? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।

থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অফিসে এসি তো ছিল।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি ।
এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়ে যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি

বদলীর পর অফিসের এসি খুলে নিলেন বাহুবল থানার সাবেক ওসি রাকিবুল

আপডেট সময় ০৩:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

বদলির পর হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান থানায় লাগানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে গেছেন

গত ৭ আগস্ট পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওসি রাকিবুল ইসলাম খানকে প্রথমে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পরে মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়।বদলীর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী এমপির সরকারি অনুদানের টাকায় বরাদ্দ দেওয়া বাহুবল মডেল থানায় লাগানো এসিটি খুলে নিয়ে যান ওসি রাকিবুল ইসলাম খান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানায় যোগদান করা নতুন ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমি সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি। যোগদানের পর অফিসে এবং বাসায় কোনো এসি পাইনি। সরকারি অনুদানে কোনো এসি ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি দেওয়ান শাহনেওয়াজ গাজী উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, আমি সরকারি বরাদ্দকৃত এসি আমি অফিসের জন্য দিয়েছি। কিন্তু সাবেক ওসি তা খুলে নেবে কেন?

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও অফিসে চা চক্রের এক পর্যায়ে বিষয়টি এমপির নজরে দিলে তিনি এসি খুলে নেওয়ার ঘটনা শুনে রাগান্বিত হন এবং রাকিবুলের প্রতি ভৎর্সনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক এম রশিদ আহমেদ, যুবলীগের জাবেদ, নুরুল ইসলাম নুর ও নতুন ওসি মশিউর রহমান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসি খুলে নেওয়া সাবেক ওসি রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অফিসে কোনো এসি ছিল না এবং বাসারটা ছিল আমার নিজের।
অথচ থানার ওসির অফিসকক্ষে এসি লাগানোর ছবি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং খুলে নেওয়ারও আলামত বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করলেন কেন? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।

থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অফিসে এসি তো ছিল।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি ।
এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়ে যায়।