ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর স্বামী-স্ত্রীর মরদেহের পাশে পড়ে ছিল চিরকুট। স্টার কাবাবে বাসি খাবার, প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত গ্রাহক রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে

বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর আটকাদেশ

স্কুলছাত্রীকে কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু অপরাধীরা হলো- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব কাউনিয়া গ্রামের শাহজাহান মল্লিকের ছেলে মোকলেছুর রহমান ও লতিফ মল্লিকের ছেলে বাবু। এ ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ১৫ ও ১৪ বছর।

রায় ঘোষনার সময় মোকলেছুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বাবু পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জানা গেছে, একই ঠিকানার স্কুলছাত্রী ওই ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর বাদী হয়ে ওই দুই শিশু অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার সময় ভুক্তভোগী বেতাগীর বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে কাউনিয়া এমদাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। আসামিরা ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। স্কুলছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় শিশু অপরাধীরা প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুজতে থাকে। ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর রাত অনুমান ৮টার দিকে ভিকটিম প্রস্রাব করতে বাইরে বের হয়। সেখানে অভিযুক্তদের সে দেখতে পেয়ে ভয়ে দৌড়ে আবার ঘরে ঢোকে। স্কুলছাত্রীর বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিয়ুক্তরা তার পেছনে দৌড়ে তার ঘরে উঠে মুখ চেপে ধরে। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এরপর ওই স্কুলছাত্রী অভিযুক্তদের হাত থেকে ছুটে চিৎকার দিলে কতিপয় সাক্ষী সেখানে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে বেতাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম জসিম উদ্দিন ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল এ ঘটনার চার্জশিট দাখিল করেন। অবশেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

শিশু অপরাধীদের আইনজীবী মো. হুমায়ূন কবির বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

রাস্ট্র্র পক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ১৭-১৮ বছরের শিশুরা ধর্ষণসহ হত্যার মত জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।

তিনি আরও বলেন, আইনে শাস্তি কম হওয়ায় এক শ্রেণির সন্ত্রাসীরা শিশুদের দিয়ে জঘন্য অপরাধ করায়। শাস্তি বেশি হলে অপরাধ অনেকটাই কমে যেত।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম

বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর আটকাদেশ

আপডেট সময় ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

স্কুলছাত্রীকে কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু অপরাধীরা হলো- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব কাউনিয়া গ্রামের শাহজাহান মল্লিকের ছেলে মোকলেছুর রহমান ও লতিফ মল্লিকের ছেলে বাবু। এ ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ১৫ ও ১৪ বছর।

রায় ঘোষনার সময় মোকলেছুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বাবু পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জানা গেছে, একই ঠিকানার স্কুলছাত্রী ওই ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর বাদী হয়ে ওই দুই শিশু অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার সময় ভুক্তভোগী বেতাগীর বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে কাউনিয়া এমদাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। আসামিরা ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। স্কুলছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় শিশু অপরাধীরা প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুজতে থাকে। ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর রাত অনুমান ৮টার দিকে ভিকটিম প্রস্রাব করতে বাইরে বের হয়। সেখানে অভিযুক্তদের সে দেখতে পেয়ে ভয়ে দৌড়ে আবার ঘরে ঢোকে। স্কুলছাত্রীর বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিয়ুক্তরা তার পেছনে দৌড়ে তার ঘরে উঠে মুখ চেপে ধরে। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এরপর ওই স্কুলছাত্রী অভিযুক্তদের হাত থেকে ছুটে চিৎকার দিলে কতিপয় সাক্ষী সেখানে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে বেতাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম জসিম উদ্দিন ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল এ ঘটনার চার্জশিট দাখিল করেন। অবশেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

শিশু অপরাধীদের আইনজীবী মো. হুমায়ূন কবির বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

রাস্ট্র্র পক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ১৭-১৮ বছরের শিশুরা ধর্ষণসহ হত্যার মত জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।

তিনি আরও বলেন, আইনে শাস্তি কম হওয়ায় এক শ্রেণির সন্ত্রাসীরা শিশুদের দিয়ে জঘন্য অপরাধ করায়। শাস্তি বেশি হলে অপরাধ অনেকটাই কমে যেত।