ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর স্বামী-স্ত্রীর মরদেহের পাশে পড়ে ছিল চিরকুট। স্টার কাবাবে বাসি খাবার, প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত গ্রাহক রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

এসময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে। আর সুমন হোসেন সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার আট বছরের একটি শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে যান সুমন। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে আটজনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০১:২৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

এসময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে। আর সুমন হোসেন সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার আট বছরের একটি শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে যান সুমন। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে আটজনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।