ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা মুগদা থানা নবগত ওসির সঙ্গে মুগদা স্থানীয় সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইবে দলগুলো ইয়েমেনের ১৫ নিশানায় মার্কিন হামলা বছিলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন শুভ উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি বোরহানউদ্দিনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত- চ্যাম্পিয়ান হাকিমুউদ্দিন বাজার একাদশ লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে ৫৯ কর্মচারির অনাস্হা পাবনায় বৈসম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুল সঃ ও নাত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করতে না পারায় প্রতিবেদন দিতে দেরি হচ্ছে-র‍্যাব মিডিয়া পরিচালক

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলাম,সেখান থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আমরা এখনো প্রকৃত আসামিকে শনাক্ত করতে পারিনি, তাই আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।তিনি বলেন, কোনো

নিরপরাধী যেন হয়রানির শিকার না হয় তাই আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আসামিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এখনো শনাক্ত করতে পারিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা করছি, আমরা যে তদন্ত প্রতিবেদন দিবো এখানে যেন কোনো ভাবেই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ভিকটিমাইজ না হয়। ‌

এ বিষয় মূলত আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি,আমরা এই সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং গুরুত্ব দিয়ে করছি,খুব কম হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে এমনটি হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

তবে এই মামলার ক্ষেত্রে আমরা আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে পাঠিয়েছি,এই হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছি আলামত।

যাদেরকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে যাদেরকে র্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাদের আলামত কিন্তু পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানি থেকে পাঠানো প্রতিবেদন আমরা যাচাই-বাছাই করে দুইজন সন্দেহভাজন পেয়েছি যাদেরকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

ডিএনএ পরীক্ষা থেকে যে দুইজন সন্দেহভাজন পাওয়া গেছে তাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি,আমাদের ধারণা ওই সন্দেহভাজন দুইজন সম্ভাব্য অপরাধী।

এই বিষয়ে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন,এই দুইজনকে শনাক্ত করার পর আমরা বলতে পারবো যে আর কতদিন লাগবে।

১০০ বার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকের বিষয় না।

আমাদের মূল উদ্দেশ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা,কেউ যেন এখানে ভিকটিমাইজ(ভুক্তভোগী) না হন,অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো ব্যক্তি একদম ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না তারপরও আদালতে প্রতিবেদনে তার নাম চলে যায়।

আবার অনেকে আছে যিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন, আমরা এই ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শেষ করতে অনেক সময় কিন্তু দেখা গেছে বেশি সময় লেগেছে।

সন্দেহভাজন দুইজন সম্ভাব্য অপরাধীকে শনাক্ত করতে র র্যাবের জন্য অনেক কঠিন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার পরবর্তীতে আলামত সংগ্রহ করা অনেক কঠিন কাজ ছিল।

এই সাংবাদিক দম্পতি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন ঘটনার পর সেখানে অনেক মানুষ গিয়েছিলেন,এখানে আলামতের একটি বিষয় ছিল।

এখন পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ যতজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে ওই দুইজন সন্দেহভাজন ছিল কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ হয় আমরা ২৫ জনের আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম।

পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আমরা দুজন সন্দেহভাজন পেয়েছি যাদের শনাক্ত করা যায়নি,তাদের শনাক্ত করা গেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে,এ ঘটনায় প্রকৃত কারা জড়িত এই ধরনের কংক্রিট তথ্য আমরা পাইনি।

এখন পর্যন্ত যে ২৫ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা সুনিশ্চিত না তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করতে না পারায় প্রতিবেদন দিতে দেরি হচ্ছে-র‍্যাব মিডিয়া পরিচালক

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলাম,সেখান থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আমরা এখনো প্রকৃত আসামিকে শনাক্ত করতে পারিনি, তাই আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।তিনি বলেন, কোনো

নিরপরাধী যেন হয়রানির শিকার না হয় তাই আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আসামিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এখনো শনাক্ত করতে পারিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা করছি, আমরা যে তদন্ত প্রতিবেদন দিবো এখানে যেন কোনো ভাবেই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ভিকটিমাইজ না হয়। ‌

এ বিষয় মূলত আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি,আমরা এই সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং গুরুত্ব দিয়ে করছি,খুব কম হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে এমনটি হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

তবে এই মামলার ক্ষেত্রে আমরা আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে পাঠিয়েছি,এই হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছি আলামত।

যাদেরকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে যাদেরকে র্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাদের আলামত কিন্তু পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই কোম্পানি থেকে পাঠানো প্রতিবেদন আমরা যাচাই-বাছাই করে দুইজন সন্দেহভাজন পেয়েছি যাদেরকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

ডিএনএ পরীক্ষা থেকে যে দুইজন সন্দেহভাজন পাওয়া গেছে তাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি,আমাদের ধারণা ওই সন্দেহভাজন দুইজন সম্ভাব্য অপরাধী।

এই বিষয়ে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন,এই দুইজনকে শনাক্ত করার পর আমরা বলতে পারবো যে আর কতদিন লাগবে।

১০০ বার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকের বিষয় না।

আমাদের মূল উদ্দেশ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা,কেউ যেন এখানে ভিকটিমাইজ(ভুক্তভোগী) না হন,অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো ব্যক্তি একদম ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না তারপরও আদালতে প্রতিবেদনে তার নাম চলে যায়।

আবার অনেকে আছে যিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন, আমরা এই ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত শেষ করতে অনেক সময় কিন্তু দেখা গেছে বেশি সময় লেগেছে।

সন্দেহভাজন দুইজন সম্ভাব্য অপরাধীকে শনাক্ত করতে র র্যাবের জন্য অনেক কঠিন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার পরবর্তীতে আলামত সংগ্রহ করা অনেক কঠিন কাজ ছিল।

এই সাংবাদিক দম্পতি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন ঘটনার পর সেখানে অনেক মানুষ গিয়েছিলেন,এখানে আলামতের একটি বিষয় ছিল।

এখন পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ যতজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে ওই দুইজন সন্দেহভাজন ছিল কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ হয় আমরা ২৫ জনের আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম।

পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আমরা দুজন সন্দেহভাজন পেয়েছি যাদের শনাক্ত করা যায়নি,তাদের শনাক্ত করা গেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে,এ ঘটনায় প্রকৃত কারা জড়িত এই ধরনের কংক্রিট তথ্য আমরা পাইনি।

এখন পর্যন্ত যে ২৫ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা সুনিশ্চিত না তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।