ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা মুগদা থানা নবগত ওসির সঙ্গে মুগদা স্থানীয় সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইবে দলগুলো ইয়েমেনের ১৫ নিশানায় মার্কিন হামলা বছিলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন শুভ উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি বোরহানউদ্দিনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত- চ্যাম্পিয়ান হাকিমুউদ্দিন বাজার একাদশ লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে ৫৯ কর্মচারির অনাস্হা পাবনায় বৈসম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুল সঃ ও নাত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কুবিতে অবস্থান কর্মসূচি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।

রোববার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে সমাবেশ এবং পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংবাদকর্মীরা।

সমাবেশ কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য ছিল না। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যেভাবে বহিষ্কার করেছে তা কোন আইন সমর্থন করে না।

এছাড়াও কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের সভায় কারা ছিলেন, কীভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারা ভেবেছিল ইকবালকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সাংবাদিকদের কলমকে বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন, যারা অন্যায় ও দুর্নীতিকে তুলে ধরেন তারা নিজেদের সৎ সাহস নিয়েই করেন।

কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য কাজ করে যায়। ইকবাল কোন অপরাধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু উপাচার্য ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। উপাচার্য চরমভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আমি বলতে চাই আপনারা ভুল করেছেন সেই ভুল স্বীকার করে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসুন। রুদ্র ইকবালের উপর আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্ত প্রত্যাহার করুন। তা না হলে বাংলাদেশের সমগ্র সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন নামতে বাধ্য হব।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভুল করেছে সে ভুলের দায় তারা স্বীকার করতে চায় না। তারা শুধু একটা কথাই বলে ‘উচ্চ পর্যায়ের সভা’। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উচ্চ পর্যায়ের সভা বলে কোনো কাঠামো নেই। তাদের এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মাধ্যমে একটি অবৈধ, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত রুদ্র ইকবালের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। অথচ কাদেরকে নিয়ে এই সভা গঠিত হয়েছে? সে বিষয় প্রশাসন এখনো পরিষ্কার করে বলেনি। নিজের অপরাধকে ঢাকতে নতুন নতুন অপরাধ করছেন তিনি।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, ভোরের ডাক প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাছিবুল ইসলাম সবুজ, আমার বার্তার প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবিহ, কালবেলার প্রতিনিধি আবু শামা, সারা বাংলার প্রতিনিধি রাজিব হোসাইন, দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসাইন, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, নয়া শতাব্দীর প্রতিনিধি তানভীর সালাম অর্ণব দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, চ্যনেল অনলাইনের প্রতিনিধি ফারিহা জাহান, ডাকঘরের প্রতিনিধি শাহিন ইয়াসার, রাইজিং বিডি প্রতিনিধি নাভিদ, অধিকারপত্রের প্রতিনিধি জাহিদ।

উল্লেখ্য; দুর্নীতি বিষয়ে গত ৩১ জুলাই (সোমবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ‘নবীন বরন ও বিদায়’ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি হচ্ছে বলে উন্নয়ন হচ্ছে এমন মন্তব্য করেন।

বিষয়টি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা

রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কুবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট সময় ০১:১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।

রোববার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে সমাবেশ এবং পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংবাদকর্মীরা।

সমাবেশ কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য ছিল না। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যেভাবে বহিষ্কার করেছে তা কোন আইন সমর্থন করে না।

এছাড়াও কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের সভায় কারা ছিলেন, কীভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারা ভেবেছিল ইকবালকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সাংবাদিকদের কলমকে বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন, যারা অন্যায় ও দুর্নীতিকে তুলে ধরেন তারা নিজেদের সৎ সাহস নিয়েই করেন।

কর্মসূচিতে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য কাজ করে যায়। ইকবাল কোন অপরাধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু উপাচার্য ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। উপাচার্য চরমভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আমি বলতে চাই আপনারা ভুল করেছেন সেই ভুল স্বীকার করে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসুন। রুদ্র ইকবালের উপর আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্ত প্রত্যাহার করুন। তা না হলে বাংলাদেশের সমগ্র সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন নামতে বাধ্য হব।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভুল করেছে সে ভুলের দায় তারা স্বীকার করতে চায় না। তারা শুধু একটা কথাই বলে ‘উচ্চ পর্যায়ের সভা’। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উচ্চ পর্যায়ের সভা বলে কোনো কাঠামো নেই। তাদের এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মাধ্যমে একটি অবৈধ, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত রুদ্র ইকবালের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। অথচ কাদেরকে নিয়ে এই সভা গঠিত হয়েছে? সে বিষয় প্রশাসন এখনো পরিষ্কার করে বলেনি। নিজের অপরাধকে ঢাকতে নতুন নতুন অপরাধ করছেন তিনি।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, ভোরের ডাক প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাছিবুল ইসলাম সবুজ, আমার বার্তার প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবিহ, কালবেলার প্রতিনিধি আবু শামা, সারা বাংলার প্রতিনিধি রাজিব হোসাইন, দেশের কন্ঠের প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসাইন, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, নয়া শতাব্দীর প্রতিনিধি তানভীর সালাম অর্ণব দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, চ্যনেল অনলাইনের প্রতিনিধি ফারিহা জাহান, ডাকঘরের প্রতিনিধি শাহিন ইয়াসার, রাইজিং বিডি প্রতিনিধি নাভিদ, অধিকারপত্রের প্রতিনিধি জাহিদ।

উল্লেখ্য; দুর্নীতি বিষয়ে গত ৩১ জুলাই (সোমবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ‘নবীন বরন ও বিদায়’ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি হচ্ছে বলে উন্নয়ন হচ্ছে এমন মন্তব্য করেন।

বিষয়টি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।