পটুয়াখালী, দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠাখালী গ্রামে প্রায় ৩ একর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন আব্দুর রহমান। বাণিজ্যিকভাবে এই তরমুজের আবাদ করে। প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ জন শ্রমিক তাদের এই তরমুজ ক্ষেতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। আগে বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ করতো না কৃষক। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন বর্ষাকালেও মাচায় তরমুজ চাষ হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে বীজ যেন পচে নষ্ট না হয় সেজন্য উন্নতমানের পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বীজ অঙ্কুরোদগম হয়ে চারা বেরিয়ে আসে। বর্তমানে মাচায় এখন অনেক তরমুজ ঝুলছে। প্রতিটি তরমুজ ৩-৪ কেজি ওজনের। লাল ও হলুদ বর্ণের এ তরমুজগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু।
আর অসময়ে এমন সুন্দর তরমুজ দেখতে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসছে তরমুজ ক্ষেতে। এছাড়াও তরমুজের ফলন দেখে কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছে এবং তারাও এভাবে তরমুজ আবাদ করবে বলে জানিয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়িত তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ও তরমুজ ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পটুয়াখালীর আর একজন তরমুজ চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের জন্য এই তরমুজ আবাদ করি। প্রায় ৫০ দিনের কঠোর পরিশ্রমের ফলে এখন আমরা তরমুজের ফলন ভালো দেখতে পাচ্ছি। ৬০ দিনের মাথায় তরমুজ কাটাঁ শুরু করবো। বাজারে দাম ভালো পেলে লাভবান হবো আশা করছি।
দশমিনা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন, মাচায় তরমুজ চাষে উৎপাদন খরচ খুব একটা বেশি না। নতুন প্রযুক্তিতে অসময়ে তরমুচ চাষ একটি অসাধারনীয় উদ্যোগ আর এভাবেই কৃষি এগিয়ে যাচ্ছে ও কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছে মনে করেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃখায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, এই তরমুজ অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। চাষিরা যাতে তরমুজ কোন অসুবিধা ছাড়াই বাজারজাত করতে পারে সেজন্য আমরা সকল ধরনের সহযোগীতা করবো। নতুন এই পদ্ধতি গোটা জেলায় ছড়িয়ে দেয়া গেলে একদিকে তরমুজ সারাবছর পাওয়া যাবে অন্যদিকে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে।