সোনামসজিদ স্থলবন্দরে শুল্ক মূল্যমান বৃদ্ধীতে পাথর আমদানি রপ্তানী বন্ধ রেখে কাস্টমস ডিসি বরাবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ এর নেতৃত্বে ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি দলের স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থল বন্দরে পাথরের ক্ষেত্রে ১৩ ডলারে এ্যাসেসমেন্ট গ্রহণ করা হতো। কিন্তু হঠাৎ করে ২রা আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি তারিখ হতে এই অ্যাসাইনমেন্ট, ১৩ ডলার থেকে ১৫ ডলার করে দেয়া হয়। যার ফলে পাথর ব্যবসায়ীদের ১৬০ টাকা অধিক গুনতে হচ্ছে।
এই নিয়ম নির্ধারণ করার ফলে ব্যবসায়ীদেরকে লসের খাতায় পড়তে হচ্ছিল, এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা পাথর আনা বন্ধ করে দেন। আজ ৫ ই আগস্ট ২০২৩ ইংরেজি তারিখে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবসায়ীদের পক্ষ হতে কাস্টম ডেপুটি কমিশনারকে পুনরায় ১৩ ডলারে ইমিগ্রেশন করার জন্য পত্র প্রদান করেন। এবং আগামীকাল কাস্টম কমিশনারের মাধ্যমে পত্র প্রদান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সরকারের ঊর্ধতন মহলে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে চেম্বার অব কমার্সের এটি বিশেষ প্রতিনিধি দল সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পাথরের এই ব্যবসার সঙ্গে দিনমজুর সহ ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এই পাথরগুলো আমদানি করা হয় মূলত দেশের উন্নয়নমূলক কাজে, ইউকরেন যুদ্ধে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে টাকায় এর ২০ থেকে ২৫ টাকা মত পার্থক্য আসে। চেম্বার অফ কমার্স মনে করে বিষয়টি যেহেতু রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যদি আবারও রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো তাহলে পাথরের বিষয়টা এমন অচল অবস্থা হতো না। শুধুমাত্র মৌখিকভাবে পাথরের এ্যাসেসমেন্ট বৃদ্ধি না করে চেম্বার অব কমার্স আবেদন করছে যেন পুনরায় ১৩ মার্কিন ডলার এ্যাসেসমেন্ট বহাল রাখা হয়।