ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা মুগদা থানা নবগত ওসির সঙ্গে মুগদা স্থানীয় সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইবে দলগুলো ইয়েমেনের ১৫ নিশানায় মার্কিন হামলা বছিলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন শুভ উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি বোরহানউদ্দিনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত- চ্যাম্পিয়ান হাকিমুউদ্দিন বাজার একাদশ লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে ৫৯ কর্মচারির অনাস্হা পাবনায় বৈসম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুল সঃ ও নাত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

মাদারিপুরের ডাসারে ঘুষ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তহশিলদারের বিরুদ্ধে

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় কাজীবাকাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে নামজারির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। বিভিন্ন অজুহাত ও হয়রানির হুমকি দিয়ে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু দালাল চক্র, ভূমি অফিসে রীতিমত চেয়ার পেতে বসে থাকে এসব দলাল চক্রের সদস্যরা। তাদের ছাড়া কোনো সেবা মেলে না এই অফিসে।
জমির নামজারি বাবদ পূর্ব মাইজপাড়া সিদ্দিক হাওলাদারের কাছে সাত হাজার টাকা নেয়া হয়েছে, যা সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে ৫/৬ গুণ বেশি। ভুক্তভোগী সিদ্দিক হাওলাদার জানান, তিন একর জমি নামজারি করতে আসছিলাম কাজীবাকাই ইউনিয়ন তহশিলদার গোলাম মাওলার কাছে। সে বড় অংকের টাকা ঘুষ দাবি করে, না দিলে উপজেলায় গিয়ে নামজারি করে নিয়ে আসতে বলা সহ বিভিন্ন হয়রানির হুমকি দেন। পরে অনেক অনুরোধের পর তাকে শাত হাজার টকা দিয়ে নামজারি করাই।
আরেক ভূক্তভোগী পূর্ব খানতলীর অসহয় হতদরিদ্র পারুল বেগম (৬৫) বলেন, তহশিলদার মাওলা আমাকে একটি ঘর দিবে বলে আমার থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং বাড়িতে এসে জায়গা মেপে নিয়েছে কিন্তু এখনো আমাকে ঘর দেয়নি।
একই গ্রামের আলামিন মিয়া (৪০) বলেন, ঘোসেরহাট বাজারে আমি একটি চাঁনদিনা ভিটায় পানের দোকান করি তহশিলদার মাওলা আমার কাছে ২০হাজার টাকা চেয়েছে আমি টাকা দিতে পারিনি বিধায় আমার দোকানের চালা ভেঙে দিয়েছে, এখন আমি খোলা আকাশের নিচে পান বিক্রি করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীবাকাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ভূমি কর্মকর্তার গোলাম মাওলা বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন মিউটেশন (নামজারি) করা হয় না, এমনকি জমা নেওয়াও হয় না। সব কাজ করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসে।
কালকিনি উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কায়েসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ জানায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা

মাদারিপুরের ডাসারে ঘুষ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তহশিলদারের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১১:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় কাজীবাকাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে নামজারির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। বিভিন্ন অজুহাত ও হয়রানির হুমকি দিয়ে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু দালাল চক্র, ভূমি অফিসে রীতিমত চেয়ার পেতে বসে থাকে এসব দলাল চক্রের সদস্যরা। তাদের ছাড়া কোনো সেবা মেলে না এই অফিসে।
জমির নামজারি বাবদ পূর্ব মাইজপাড়া সিদ্দিক হাওলাদারের কাছে সাত হাজার টাকা নেয়া হয়েছে, যা সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে ৫/৬ গুণ বেশি। ভুক্তভোগী সিদ্দিক হাওলাদার জানান, তিন একর জমি নামজারি করতে আসছিলাম কাজীবাকাই ইউনিয়ন তহশিলদার গোলাম মাওলার কাছে। সে বড় অংকের টাকা ঘুষ দাবি করে, না দিলে উপজেলায় গিয়ে নামজারি করে নিয়ে আসতে বলা সহ বিভিন্ন হয়রানির হুমকি দেন। পরে অনেক অনুরোধের পর তাকে শাত হাজার টকা দিয়ে নামজারি করাই।
আরেক ভূক্তভোগী পূর্ব খানতলীর অসহয় হতদরিদ্র পারুল বেগম (৬৫) বলেন, তহশিলদার মাওলা আমাকে একটি ঘর দিবে বলে আমার থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং বাড়িতে এসে জায়গা মেপে নিয়েছে কিন্তু এখনো আমাকে ঘর দেয়নি।
একই গ্রামের আলামিন মিয়া (৪০) বলেন, ঘোসেরহাট বাজারে আমি একটি চাঁনদিনা ভিটায় পানের দোকান করি তহশিলদার মাওলা আমার কাছে ২০হাজার টাকা চেয়েছে আমি টাকা দিতে পারিনি বিধায় আমার দোকানের চালা ভেঙে দিয়েছে, এখন আমি খোলা আকাশের নিচে পান বিক্রি করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীবাকাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ভূমি কর্মকর্তার গোলাম মাওলা বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন মিউটেশন (নামজারি) করা হয় না, এমনকি জমা নেওয়াও হয় না। সব কাজ করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসে।
কালকিনি উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কায়েসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ জানায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।