ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১

নদীর পাড়ে বালুর স্তূপ, বাঁধের ১৫০ মিটার যমুনায় বিলীন

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধের অন্তত ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধভাবে যমুনা নদীর তীরে স্তূপ করে রেখে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এ ধস দেখা দিয়েছে।

এর আগে গত ৭ জুলাই কাজিপুর মেঘাই স্পার বাঁধের ৩০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ১ নম্বর স্পারের উজানে এ ধস দেখা দেয়। খবর পেয়ে ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোর থেকেই জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করেই ধসে যেতে থাকে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ। এসময় বাঁধের পাশে নোঙর করে রাখা জেলেদের ৩০টি নৌকা মাটিচাপা পড়ে। অপরদিকে বালু ব্যবসায়ীদের স্তূপ করে রাখা বালুর একটি বড় অংশও নদীগর্ভে চলে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম, মডেল মসজিদ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, কয়েকজন ব্যবসায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম না মেনে নদীতীরের ১০ ফুটের মধ্যে বালু স্তূপ করে রেখে ব্যবসা করার কারণেই এ ধস দেখা দিয়েছে। গত ২০ জুন ওই বালুর পয়েন্ট অপসারণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও বালুর স্তূপ সরানো হয়নি।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজি মো. অনিক ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব আমাকে ভাঙনের বিষয়টি জানালে তখনই উপজেলা চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই এবং পাউবোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। সকাল ৬টা থেকে পাউবো জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। রাতে ভাঙনটা বেশি ছিল। এখন একটু কম।

তিনি বলেন, ইউএনও স্যার ভারতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। বালুর স্তূপ রাখা নিয়ে অভিযোগটি ইউএনও স্যার পেয়েছেন কিনা জানা নেই। তবে আমরা নদীতীর থেকে বালু সরানোর জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছিলাম। এরপর সেখান থেকে তারা বালু অপসারণও শুরু করে, কিন্তু পুরোপুরি সরানোর আগেই ভাঙন দেখা দিল। ভাঙনে তাদের বালুরও একটি বড় অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, ওখানে আমাদের প্রটেকটিভ বাঁধ ছিল। ভোরে সেখানে ধস শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত অন্তত ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমরা ভোর থেকেই সেখানে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছি। এখন ভাঙন নিয়ন্ত্রণে।

তিনি বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজারের ভাইব্রেশনের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে বাড়ছে নদীর পানি। রয়েছে তীব্র স্রোত। এসব কারণেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ

নদীর পাড়ে বালুর স্তূপ, বাঁধের ১৫০ মিটার যমুনায় বিলীন

আপডেট সময় ১১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধের অন্তত ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধভাবে যমুনা নদীর তীরে স্তূপ করে রেখে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এ ধস দেখা দিয়েছে।

এর আগে গত ৭ জুলাই কাজিপুর মেঘাই স্পার বাঁধের ৩০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ১ নম্বর স্পারের উজানে এ ধস দেখা দেয়। খবর পেয়ে ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোর থেকেই জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করেই ধসে যেতে থাকে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ। এসময় বাঁধের পাশে নোঙর করে রাখা জেলেদের ৩০টি নৌকা মাটিচাপা পড়ে। অপরদিকে বালু ব্যবসায়ীদের স্তূপ করে রাখা বালুর একটি বড় অংশও নদীগর্ভে চলে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম, মডেল মসজিদ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, কয়েকজন ব্যবসায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম না মেনে নদীতীরের ১০ ফুটের মধ্যে বালু স্তূপ করে রেখে ব্যবসা করার কারণেই এ ধস দেখা দিয়েছে। গত ২০ জুন ওই বালুর পয়েন্ট অপসারণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও বালুর স্তূপ সরানো হয়নি।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজি মো. অনিক ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব আমাকে ভাঙনের বিষয়টি জানালে তখনই উপজেলা চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই এবং পাউবোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। সকাল ৬টা থেকে পাউবো জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। রাতে ভাঙনটা বেশি ছিল। এখন একটু কম।

তিনি বলেন, ইউএনও স্যার ভারতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। বালুর স্তূপ রাখা নিয়ে অভিযোগটি ইউএনও স্যার পেয়েছেন কিনা জানা নেই। তবে আমরা নদীতীর থেকে বালু সরানোর জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছিলাম। এরপর সেখান থেকে তারা বালু অপসারণও শুরু করে, কিন্তু পুরোপুরি সরানোর আগেই ভাঙন দেখা দিল। ভাঙনে তাদের বালুরও একটি বড় অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, ওখানে আমাদের প্রটেকটিভ বাঁধ ছিল। ভোরে সেখানে ধস শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত অন্তত ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমরা ভোর থেকেই সেখানে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছি। এখন ভাঙন নিয়ন্ত্রণে।

তিনি বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজারের ভাইব্রেশনের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে বাড়ছে নদীর পানি। রয়েছে তীব্র স্রোত। এসব কারণেই ভাঙন দেখা দিয়েছে।