ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি বিশ্ব: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিশ্ব সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দীর্ঘ এক বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।

বক্তৃতায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টাও করেন পুতিন। তবে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রুশ এই প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ রাশিয়াকে কার্যত আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মস্কো-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা সংস্থা ভালদাই ফোরামে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পুতিন বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সক্রিয়ভাবে কিছু বলিনি। আমরা শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের মন্তব্যের ইঙ্গিতের বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।’

পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, তারা বিপজ্জনক, রক্তাক্ত, নোংরা খেলা খেলছে। বিশ্বের বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টির জন্য পশ্চিমাদেরকে দোষারোপ করে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমের ‘একক আধিপত্য’ এখন শেষ হয়ে আসছে। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে আছি। সামনে সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক, অপ্রত্যাশিত এবং একই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দশক অপেক্ষা করছে।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় পশ্চিমারা আর দায়িত্বে থাকতে সক্ষম নয় – তবে আধিপত্য ধরে রাখতে তারা ‘মরিয়া চেষ্টা’ করছে। পুতিন বলেন, আমাদের চোখের সামনে একটি ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।

অবশ্য পুতিনের এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ সামনে আনা হয়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি বিশ্ব: পুতিন

আপডেট সময় ১০:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিশ্ব সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দীর্ঘ এক বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।

বক্তৃতায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টাও করেন পুতিন। তবে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রুশ এই প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ রাশিয়াকে কার্যত আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মস্কো-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা সংস্থা ভালদাই ফোরামে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পুতিন বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সক্রিয়ভাবে কিছু বলিনি। আমরা শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের মন্তব্যের ইঙ্গিতের বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।’

পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, তারা বিপজ্জনক, রক্তাক্ত, নোংরা খেলা খেলছে। বিশ্বের বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টির জন্য পশ্চিমাদেরকে দোষারোপ করে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমের ‘একক আধিপত্য’ এখন শেষ হয়ে আসছে। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে আছি। সামনে সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক, অপ্রত্যাশিত এবং একই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দশক অপেক্ষা করছে।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় পশ্চিমারা আর দায়িত্বে থাকতে সক্ষম নয় – তবে আধিপত্য ধরে রাখতে তারা ‘মরিয়া চেষ্টা’ করছে। পুতিন বলেন, আমাদের চোখের সামনে একটি ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।

অবশ্য পুতিনের এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ সামনে আনা হয়নি।