ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

হয় জলবায়ুকে অগ্রাধিকার দিন, না হয় বিপর্যয়ের মুখে পড়ুন: জাতিসংঘ

বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সেগুলোর একটি। বিশ্বে ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, অনেক স্থানে বিপর্যয়ও স্পষ্ট। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনও খুব বেশি ফল মেলেনি।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সকল দেশকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে পুনরায় অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, দেশগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনকে পুনরায় অগ্রাধিকার দিতে হবে, আর তা না হলে বিশ্ব বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। মিশরে বড় জলবায়ু সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিবিসি নিউজকে একথা বলেন জাতিসংঘের প্রধান। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে পেছনের দিকে ঠেলে রাখার প্রবণতা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের প্রবণতাকে উল্টাতে না পারি, তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’আগামী নভেম্বর মাসে মিশরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। কপ ২৭ নামে পরিচিত এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আলোচনার জন্য দেশগুলো একত্রিত হবে।

গুতেরেস বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চ মূল্যের মতো বর্তমান বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনকে আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ সেন্টিগ্রেডে রাখাসহ বৈশ্বিক নেতাদের প্রধান লক্ষ্যগুলো ত্যাগ করা উচিত নয়।

গুতেরেস বলেন, তিনি চান ব্রিটিশ রাজা চার্লস তৃতীয় এবং যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উভয়ই আসন্ন কপ২৭ সম্মেলনে যোগ দিক। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য রাজা চার্লসকে ‘জোরালো কণ্ঠস্বর’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্ব তাদের নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। তবে গত আগস্টে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল চীন। মূলত নেতৃস্থানীয় মার্কিন রাজনীতিবিদ ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করার পর ক্ষুদ্ধ বেইজিং এই সিদ্ধান্ত নেয়।

গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ‘এটি আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যে কারণেই হোক; জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে উৎসর্গ করার অধিকার কারও নেই।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের ভাষায়, ‘আমাদের সত্য বলতে হবে। আর সত্য হলো- বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যেই ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে।’

গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, সরকারগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের কঠোর প্রভাবের মুখোমুখি হওয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

হয় জলবায়ুকে অগ্রাধিকার দিন, না হয় বিপর্যয়ের মুখে পড়ুন: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ০২:৩৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সেগুলোর একটি। বিশ্বে ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, অনেক স্থানে বিপর্যয়ও স্পষ্ট। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনও খুব বেশি ফল মেলেনি।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সকল দেশকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে পুনরায় অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, দেশগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনকে পুনরায় অগ্রাধিকার দিতে হবে, আর তা না হলে বিশ্ব বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। মিশরে বড় জলবায়ু সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিবিসি নিউজকে একথা বলেন জাতিসংঘের প্রধান। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে পেছনের দিকে ঠেলে রাখার প্রবণতা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের প্রবণতাকে উল্টাতে না পারি, তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’আগামী নভেম্বর মাসে মিশরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। কপ ২৭ নামে পরিচিত এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আলোচনার জন্য দেশগুলো একত্রিত হবে।

গুতেরেস বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চ মূল্যের মতো বর্তমান বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনকে আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো এড়াতে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ সেন্টিগ্রেডে রাখাসহ বৈশ্বিক নেতাদের প্রধান লক্ষ্যগুলো ত্যাগ করা উচিত নয়।

গুতেরেস বলেন, তিনি চান ব্রিটিশ রাজা চার্লস তৃতীয় এবং যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উভয়ই আসন্ন কপ২৭ সম্মেলনে যোগ দিক। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য রাজা চার্লসকে ‘জোরালো কণ্ঠস্বর’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্ব তাদের নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। তবে গত আগস্টে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল চীন। মূলত নেতৃস্থানীয় মার্কিন রাজনীতিবিদ ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করার পর ক্ষুদ্ধ বেইজিং এই সিদ্ধান্ত নেয়।

গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ‘এটি আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যে কারণেই হোক; জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে উৎসর্গ করার অধিকার কারও নেই।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের ভাষায়, ‘আমাদের সত্য বলতে হবে। আর সত্য হলো- বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যেই ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে।’

গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, সরকারগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের কঠোর প্রভাবের মুখোমুখি হওয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করতে হবে।