ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি চলছে প্রশ্ন ফাঁসে ফেঁসে গেলেন বিমানের প্রধান প্রকৌশলী পাচার অর্থ ফেরাতে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুদকের বৈঠক নাবিল গ্রুপ: সরকারি জমি দখলে নিয়ে করেছে ডেইরী ফার্ম এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চসিক নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, নতুন মেয়র বিএনপি প্রার্থী বৈষম্য দূরীকরনে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন তেলের জাহাজে আগুন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যায় অর্থ সরবরাহের অভিযোগ!

অন্যের জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল

অন্যের জমি নিজের বলে দাবি করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট অপরাধী ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে ভূমিবিষয়ক অপরাধগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার (১৯ জুন) সকালে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকেলে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতির অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ধরনের অপরাধে কেউ সহযোগিতা করলেও একই শাস্তি হবে।

এর আগে বিভিন্ন সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দলিল যার জমি তার এই আইনের জন্য মানুষ অপেক্ষায় আছে। দলিল যার জমি তার। এটা সাংঘাতিক আকারে ভাইরাল হয়ে গেছে। মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। আইনটি নিয়ে স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করতে হয়েছে। অনেক বিষয় আছে। আইনটি মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাব। ওখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং হবে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা সংশোধন আইন,                                                                                                  বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের কিছু কিছু ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন-২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি সংসদে পাশ হলে কোনো ফসলি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া নদীর নাব্য নষ্ট হতে পারে এমন স্থান থেকেও বালু উত্তোলন করা যাবে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যন্ত্র জব্দ করতে পারবে ম্যাজিস্ট্রেট।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বালু উত্তোলনের অবৈধ যন্ত্র আগে সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারত না, এখন ম্যাজিস্ট্রেটরা সেটি করতে পারবে। বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তার কোনো ক্ষতি হলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে রাস্তা আবার মেরামত করে দিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন,                                                                                                       হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, খসড়া অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত আলাদা কাউন্সিল হবে। এই কাউন্সিল সার্বিক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে কিনা সেটি কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি চলছে

অন্যের জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল

আপডেট সময় ১২:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

অন্যের জমি নিজের বলে দাবি করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট অপরাধী ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে ভূমিবিষয়ক অপরাধগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার (১৯ জুন) সকালে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকেলে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতির অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ধরনের অপরাধে কেউ সহযোগিতা করলেও একই শাস্তি হবে।

এর আগে বিভিন্ন সময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দলিল যার জমি তার এই আইনের জন্য মানুষ অপেক্ষায় আছে। দলিল যার জমি তার। এটা সাংঘাতিক আকারে ভাইরাল হয়ে গেছে। মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। আইনটি নিয়ে স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করতে হয়েছে। অনেক বিষয় আছে। আইনটি মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাব। ওখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং হবে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা সংশোধন আইন,                                                                                                  বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের কিছু কিছু ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন-২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি সংসদে পাশ হলে কোনো ফসলি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া নদীর নাব্য নষ্ট হতে পারে এমন স্থান থেকেও বালু উত্তোলন করা যাবে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যন্ত্র জব্দ করতে পারবে ম্যাজিস্ট্রেট।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বালু উত্তোলনের অবৈধ যন্ত্র আগে সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারত না, এখন ম্যাজিস্ট্রেটরা সেটি করতে পারবে। বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তার কোনো ক্ষতি হলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে রাস্তা আবার মেরামত করে দিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন,                                                                                                       হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, খসড়া অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত আলাদা কাউন্সিল হবে। এই কাউন্সিল সার্বিক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে কিনা সেটি কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।