রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের হাড়োগাথী গ্রামের এক ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। গত ৯ জুন সকাল ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার জানান।
বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয় ভুক্তভোগীকে। পরে ভুক্তভোগীর দাদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৫০ হাজার টাকা লোভ দেখায় কথিত ডাক্তার খালেক। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্যও সতর্ক করে দেয় তাকে।
ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী বান্ধবী জানায়, ঘটনার দিন আমরা ডাক্তারের বাসায় যাই। সে আমাদের গেম খেলার জন্য মোবাইল দেয়। একপর্যায়ে আমার বান্ধবীকে অসুখ দেখার কথা বলে পাশের রুমে ডেকে নেয়। অনেক সময় পার হলেও বান্ধবী না আসায় আমরা ওই রুমে ঢুকে পড়ি। এসময় ডাক্তারকে বিবস্ত্র এবং ভিকটিমকে কাঁদতে দেখা যায়। পরে আমরা তাকে সেখান থেকে নিয়ে বাসায় চলে আসি।
ওই ঘটনার ১১ দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটির বড় বোন তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ধর্ষনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পরে সোমবার (১৮ জুন) বিষয়টি জানাজানি হলো ওই গ্রামের লোকজন ৯৯৯ এ কল দেয়। পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা তদন্তের আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ডাক্তার।
এ ঘটনায় মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার জন্য নেওয়া হয় এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভিকটিমের মা।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মেয়েটি চিকিৎসা নিচ্ছে বলে শুনেছি।