ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি চলছে প্রশ্ন ফাঁসে ফেঁসে গেলেন বিমানের প্রধান প্রকৌশলী পাচার অর্থ ফেরাতে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুদকের বৈঠক নাবিল গ্রুপ: সরকারি জমি দখলে নিয়ে করেছে ডেইরী ফার্ম এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চসিক নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, নতুন মেয়র বিএনপি প্রার্থী বৈষম্য দূরীকরনে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন তেলের জাহাজে আগুন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যায় অর্থ সরবরাহের অভিযোগ!

ভল্ট বানিয়ে সাড়ে সাত কেজি হেরোইন মজুদ,গাড়ীতে সর্বোচ্চ মাদকের চালান উদ্ধার

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে ইতিহাসে এই প্রথম মাদকের সর্ববৃহৎ মাদকের চালান উদ্ধার হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী অভিনব কৌশলে ঘরের মধ্যে ব্যাংকের মতো করে ভল্ট বানিয়ে হেরোইন মজুদ রেখেছিল। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের বিশেষ দল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৪ টার দিকে অভিযানে চালিয়ে এই মাদকের বিশাল চালান হেরোইন, ফেন্সিডিল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম জিয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। অভিযানের পর আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা এবং অফিসার ইনচার্জ গোদাগাড়ী মডেল থানা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটা চৌকস দল গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের আচুয়া কসাইপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।

অভিযানের প্রথম পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অধিকতর তল্লাশির এক পর্যায়ে তার বাড়িতে বিশাল একটা আধুনিক এবং সুরক্ষিত স্টিলের তৈরি ভল্ট পাওয়া যায়। ভল্টের চাবির জন্য অনুরোধ করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেয়ায় এবং গোয়েন্দা তথ্য থাকার কারণে ভল্ট ভাঙ্গার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে ভল্ট ভেঙ্গে তার ভিতর থেকে সাত কেজি হেরোইন হেরোইন, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, হেরোইন বিক্রির ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জিয়ারুল জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছে। তিনি সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে হেরোইন এনে তার বাড়িতে মজুদ করে এবং সুবিধামতো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। এ ব্যবসা করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে। নিজের মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ, স্বর্ণ এবং হেরোইনের নিরাপদ হেফাজতের জন্য তিনি বছর তিনেক আগে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এই ভল্টটি সংগ্রহ করে।

উদ্ধার হওয়া ফেন্সিডিল তিনি নিজের সেবনের জন্য সংগ্রহ করেছিল। রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযান চলবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতন রাজশাহীবাসী এবং মিডিয়া কর্মীদের সহযোগীতা কামনা করছি।

এসময় উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণলংকারের মূল্য প্রায় বিশ লক্ষ টাকা।

রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম জানায় পুলিশ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি চলছে

ভল্ট বানিয়ে সাড়ে সাত কেজি হেরোইন মজুদ,গাড়ীতে সর্বোচ্চ মাদকের চালান উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে ইতিহাসে এই প্রথম মাদকের সর্ববৃহৎ মাদকের চালান উদ্ধার হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী অভিনব কৌশলে ঘরের মধ্যে ব্যাংকের মতো করে ভল্ট বানিয়ে হেরোইন মজুদ রেখেছিল। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের বিশেষ দল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৪ টার দিকে অভিযানে চালিয়ে এই মাদকের বিশাল চালান হেরোইন, ফেন্সিডিল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম জিয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। অভিযানের পর আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা এবং অফিসার ইনচার্জ গোদাগাড়ী মডেল থানা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটা চৌকস দল গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের আচুয়া কসাইপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।

অভিযানের প্রথম পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অধিকতর তল্লাশির এক পর্যায়ে তার বাড়িতে বিশাল একটা আধুনিক এবং সুরক্ষিত স্টিলের তৈরি ভল্ট পাওয়া যায়। ভল্টের চাবির জন্য অনুরোধ করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেয়ায় এবং গোয়েন্দা তথ্য থাকার কারণে ভল্ট ভাঙ্গার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে ভল্ট ভেঙ্গে তার ভিতর থেকে সাত কেজি হেরোইন হেরোইন, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, হেরোইন বিক্রির ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জিয়ারুল জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছে। তিনি সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে হেরোইন এনে তার বাড়িতে মজুদ করে এবং সুবিধামতো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। এ ব্যবসা করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে। নিজের মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ, স্বর্ণ এবং হেরোইনের নিরাপদ হেফাজতের জন্য তিনি বছর তিনেক আগে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এই ভল্টটি সংগ্রহ করে।

উদ্ধার হওয়া ফেন্সিডিল তিনি নিজের সেবনের জন্য সংগ্রহ করেছিল। রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযান চলবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতন রাজশাহীবাসী এবং মিডিয়া কর্মীদের সহযোগীতা কামনা করছি।

এসময় উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণলংকারের মূল্য প্রায় বিশ লক্ষ টাকা।

রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মাদক উদ্ধারের ইতিহাসে এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের নজির খুব কম জানায় পুলিশ।