বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দাদা-দাদির কবরের পাশে।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে গোমেরচরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এরআগে সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নুর মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাযা ও গোমেরচর জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার আগে পরিবারের পক্ষে নিহত সাংবাদিকের বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রয়াত সাংবাদিকের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় জামালপুর প্রেস ক্লাব, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠন।
জানাযা ও দাফনের সময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সমগ্র জেলাসহ বিভিন্নস্থানের সাংবাদিক সহকর্মীসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়।
জানাযার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সোহেল রানা, জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুম্মান, জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সাইম, প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, সাংবাদিক আশরাফুল হায়দার, বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেদায়েত উলাহ্, বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আল আমিন, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ্ আল সাফি, মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক লালন প্রমুখ।
বক্তব্যে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা সাংবাদিকদের পক্ষে বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার মূল হোতা সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ সকল হামলাকারীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।