ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে প্রবাসী বোনের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

পটুয়াখালীর মহিপুরে মোসাঃ রেণু বেগম (৫৭) দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সৌদি আরবে বাসায় কাজ করে যা উপাজন করেছেন তা সব কিছু হাতিয়ে নিয়েছেন তার ছোট ভাই বাবুল শরিফ।পটুয়াখালীর জেলাধীন মহিপুর থানার নিজামপুর গ্রামের মোঃ নুরু শরিফের বড় মেয়ে রেণু বেগম (৫৭) দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সৌদি আরবে বাসায় কাজে করে সেই কষ্টের উপার্জিত ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার ছোট বাবুল শরিফ একারণে আদালতে আত্মসাতের মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মহিলার বড় মেয়ে মোসাঃ সালমা বেগম তার ছোট মামা বাবুল শরিফ ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের বিরেুদ্ধে।

মামলা সূত্রে জানা যায় মোসাঃ রেনু বেগম জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ২০০৭ সালে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদিআরবে যান। এরপরে ভাই বাবুল শরিফের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে সৌদি আরব থেকে কষ্টে উপার্জিত টাকা-২০০৭ থেকে-২০২২ পর্যন্ত ভাই বাবুল শরিফ ও তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। এসব টাকা আসামিরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।সব টাকার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে মামলার কপির সাথে আদালতে দেয়া হয়।

২০২২ সালে রেনু বেগম সৌদিআরব থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিজামপুর যান। এপরে বাবুল শরীফের কাছে তার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত চান এই টাকা চাওয়াটাই যেন তার কাল হয়ে উঠেন এরপরে তাদের অমানুষিক নির্যাতন,করে। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

এরপরে আসামিদের প্রতারণা নির্যাতন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আপস-মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই আদালতে সৌদি প্রবাসীর বড় মেয়ে বাদী হয়ে এ মামলা করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল শরিফের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোন ১৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা আমার একাউন্টে পাঠিয়েছেন কিন্তু তিনি যেই যেই কাজে খরচ করতে কবলেছেন আমি সেই কাজে খরচ করেছি । আমাকে যে মামলা দিয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।ভুক্তভোগী রেনু বেগমের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার ছোট ভাই বাবুল শরিফ আমাকে মিথ্যা কথা বলে ভুল বুঝিয়ে আমার মেয়েদের কে দুরে সরিয়ে রাখতো যে কারণে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল শরিফের একাউন্টে ঢাকা পাঠিয়েছি।

আমি প্রবাসে এত কষ্ট করি কামাই করেছি আমার টাকা গুলো যেন আমি ফেরৎ পাই এবং এই ধরনের প্রতারকের যেন কঠিন শাস্তি হয় যাতে আর কারো সাথে এই ধরনের কাজ কেউ করতে সাহস না পায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে প্রবাসী বোনের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময় ০৯:৫২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

পটুয়াখালীর মহিপুরে মোসাঃ রেণু বেগম (৫৭) দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সৌদি আরবে বাসায় কাজ করে যা উপাজন করেছেন তা সব কিছু হাতিয়ে নিয়েছেন তার ছোট ভাই বাবুল শরিফ।পটুয়াখালীর জেলাধীন মহিপুর থানার নিজামপুর গ্রামের মোঃ নুরু শরিফের বড় মেয়ে রেণু বেগম (৫৭) দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সৌদি আরবে বাসায় কাজে করে সেই কষ্টের উপার্জিত ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার ছোট বাবুল শরিফ একারণে আদালতে আত্মসাতের মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মহিলার বড় মেয়ে মোসাঃ সালমা বেগম তার ছোট মামা বাবুল শরিফ ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের বিরেুদ্ধে।

মামলা সূত্রে জানা যায় মোসাঃ রেনু বেগম জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ২০০৭ সালে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদিআরবে যান। এরপরে ভাই বাবুল শরিফের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে সৌদি আরব থেকে কষ্টে উপার্জিত টাকা-২০০৭ থেকে-২০২২ পর্যন্ত ভাই বাবুল শরিফ ও তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। এসব টাকা আসামিরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।সব টাকার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে মামলার কপির সাথে আদালতে দেয়া হয়।

২০২২ সালে রেনু বেগম সৌদিআরব থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিজামপুর যান। এপরে বাবুল শরীফের কাছে তার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত চান এই টাকা চাওয়াটাই যেন তার কাল হয়ে উঠেন এরপরে তাদের অমানুষিক নির্যাতন,করে। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

এরপরে আসামিদের প্রতারণা নির্যাতন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আপস-মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই আদালতে সৌদি প্রবাসীর বড় মেয়ে বাদী হয়ে এ মামলা করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল শরিফের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোন ১৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা আমার একাউন্টে পাঠিয়েছেন কিন্তু তিনি যেই যেই কাজে খরচ করতে কবলেছেন আমি সেই কাজে খরচ করেছি । আমাকে যে মামলা দিয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।ভুক্তভোগী রেনু বেগমের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার ছোট ভাই বাবুল শরিফ আমাকে মিথ্যা কথা বলে ভুল বুঝিয়ে আমার মেয়েদের কে দুরে সরিয়ে রাখতো যে কারণে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল শরিফের একাউন্টে ঢাকা পাঠিয়েছি।

আমি প্রবাসে এত কষ্ট করি কামাই করেছি আমার টাকা গুলো যেন আমি ফেরৎ পাই এবং এই ধরনের প্রতারকের যেন কঠিন শাস্তি হয় যাতে আর কারো সাথে এই ধরনের কাজ কেউ করতে সাহস না পায়।