ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়াসহ আসামি পলাতক, ৬ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন উদ্ধারে গিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে গত বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে অংশ নেওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করে।

বরখাস্ত হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব, জালাল উদ্দীন, নাসির উদ্দীন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নয়ন কৃষ্ণ হোড়, এএসআই আব্দুল কাদের ও কনস্টেবল আনসার আলী।পলাতক মাসুদ রানা (২৮) সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী কোদালকাটি জেলাপাড়ার নাজিবুলের ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে রাতে মাদক মামলার আসামি মাসুদ রানাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নেওয়ার পর তাঁর মোবাইল ফোনে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতো কোটি টাকা মূল্যের ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।এ  সময় মাসুদের দুই হাতে হাতকড়া লাগান ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে মাসুদ হাতকড়া নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের হারিয়ে যান। এরপর পুলিশ পিছু নিলে তাঁকে ধরতে পারেনি। পুলিশের ধারণা, মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাবার কাছে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় পুলিশের পক্ষে দুটি মামলা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মাসুদ রানার বাবা নাজিবুল ইসলামও মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি এখন ভারতে পালিয়ে আছেন। তাঁর ছোট ভাই ও খালাতো ভাই মাদক কারবারে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানার মোট ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ মে ছয় পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়াসহ আসামি পলাতক, ৬ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৬:২০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন উদ্ধারে গিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে গত বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে অংশ নেওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করে।

বরখাস্ত হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব, জালাল উদ্দীন, নাসির উদ্দীন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নয়ন কৃষ্ণ হোড়, এএসআই আব্দুল কাদের ও কনস্টেবল আনসার আলী।পলাতক মাসুদ রানা (২৮) সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী কোদালকাটি জেলাপাড়ার নাজিবুলের ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে রাতে মাদক মামলার আসামি মাসুদ রানাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নেওয়ার পর তাঁর মোবাইল ফোনে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতো কোটি টাকা মূল্যের ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।এ  সময় মাসুদের দুই হাতে হাতকড়া লাগান ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে মাসুদ হাতকড়া নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের হারিয়ে যান। এরপর পুলিশ পিছু নিলে তাঁকে ধরতে পারেনি। পুলিশের ধারণা, মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাবার কাছে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় পুলিশের পক্ষে দুটি মামলা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মাসুদ রানার বাবা নাজিবুল ইসলামও মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি এখন ভারতে পালিয়ে আছেন। তাঁর ছোট ভাই ও খালাতো ভাই মাদক কারবারে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানার মোট ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ মে ছয় পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।