ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

পবায় অবৈধ ডিসলাইনের কন্ট্রোলরুম সিলগালা

রাজশাহীর পবায় অবৈধ ডিস লাইন পরিচালনার অভিযোগে কন্ট্রোলরুম সিলগালা করলো প্রশাসন। ১০ বছর ধরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে দিব্যি ডিস লাইন পরিচালনা করে আসছিলেন আলহাজ্ব বকুল আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বায়া বাজারে (সোনালী ব্যাংকের পাশে) সেই ডিস লাইনের কন্ট্রোল রুমে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আলহাজ্ব বকুল আহমেদ প্রয়োজনীয় কোন বৈধ অনুমতি না নিয়ে প্রায় এক যুগ থেকে ওয়ান স্কাই কেবল নেটওয়ার্ক নামের ডিস লাইন সংযোগ প্রদান করে ব্যবসা করে আসছেন। সরকারী অনুমোদন তো দূরের কথা তার কাছে নেই কোন প্রকার আয়কর ভ্যাট, পৌর ট্রেড লাইসেন্সের কপি প্রশাসনের অভিযানের সময়ে কোন কিছুই দেখাতে পারেন নি তিনি।

জানা গেছে, বায়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার টেলিভিশনে দেয়া আছে তার কন্ট্রোল রুমের সংযোগ। প্রতিটি লাইন থেকে মাসে নেয়া হয় ১০০-১৫০ টাকা। অভিযোগ আছে-সরকারী নির্দেশনার বাইরেও নিজের সার্থে চালাতেন দেশী-বিদেশী অনেক চ্যানেল।

এ ব্যাপারে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অভিজিত সরকার বলেন, আলহাজ্ব বকুল আহমেদ দীর্ঘদিন থেকে অনুমোদন ছাড়াই কেবল লাইনের ব্যবসা করে আসছিলেন। সরকারী অনুমোদনসহ কর ফাঁকি অভিযোগে সাময়িক ভাবে তার ডিসের কন্ট্রোল রুম সিলগালা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরে কয়েকদিন আগে তাকে এই ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তিনি তা দেখাননি। অভিযানের সময়ে আবারো তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়। তারপরও সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বৈধ কাগজপত্রাদী উপস্থাপন করলে খুলে দেয়া হবে কেবল নেটওয়ার্কটি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলহাজ্ব বকুল আহমেদ বলেন, ওয়ান স্কাই কেবল নেটওয়ার্কটির মালিক বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করায় কাগজপত্র দেখানো সম্ভব হয়নি। এখান থেকে লাইনের কোন সমস্যা হলে তা মেরামত করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

পবায় অবৈধ ডিসলাইনের কন্ট্রোলরুম সিলগালা

আপডেট সময় ১২:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

রাজশাহীর পবায় অবৈধ ডিস লাইন পরিচালনার অভিযোগে কন্ট্রোলরুম সিলগালা করলো প্রশাসন। ১০ বছর ধরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে দিব্যি ডিস লাইন পরিচালনা করে আসছিলেন আলহাজ্ব বকুল আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বায়া বাজারে (সোনালী ব্যাংকের পাশে) সেই ডিস লাইনের কন্ট্রোল রুমে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আলহাজ্ব বকুল আহমেদ প্রয়োজনীয় কোন বৈধ অনুমতি না নিয়ে প্রায় এক যুগ থেকে ওয়ান স্কাই কেবল নেটওয়ার্ক নামের ডিস লাইন সংযোগ প্রদান করে ব্যবসা করে আসছেন। সরকারী অনুমোদন তো দূরের কথা তার কাছে নেই কোন প্রকার আয়কর ভ্যাট, পৌর ট্রেড লাইসেন্সের কপি প্রশাসনের অভিযানের সময়ে কোন কিছুই দেখাতে পারেন নি তিনি।

জানা গেছে, বায়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার টেলিভিশনে দেয়া আছে তার কন্ট্রোল রুমের সংযোগ। প্রতিটি লাইন থেকে মাসে নেয়া হয় ১০০-১৫০ টাকা। অভিযোগ আছে-সরকারী নির্দেশনার বাইরেও নিজের সার্থে চালাতেন দেশী-বিদেশী অনেক চ্যানেল।

এ ব্যাপারে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অভিজিত সরকার বলেন, আলহাজ্ব বকুল আহমেদ দীর্ঘদিন থেকে অনুমোদন ছাড়াই কেবল লাইনের ব্যবসা করে আসছিলেন। সরকারী অনুমোদনসহ কর ফাঁকি অভিযোগে সাময়িক ভাবে তার ডিসের কন্ট্রোল রুম সিলগালা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরে কয়েকদিন আগে তাকে এই ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তিনি তা দেখাননি। অভিযানের সময়ে আবারো তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়। তারপরও সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বৈধ কাগজপত্রাদী উপস্থাপন করলে খুলে দেয়া হবে কেবল নেটওয়ার্কটি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলহাজ্ব বকুল আহমেদ বলেন, ওয়ান স্কাই কেবল নেটওয়ার্কটির মালিক বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করায় কাগজপত্র দেখানো সম্ভব হয়নি। এখান থেকে লাইনের কোন সমস্যা হলে তা মেরামত করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।