জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার (ভিজিএফ) কর্মসূচি চাল বিতরণ করছে । তার সিংহভাগ (ব্যবসায়ী) কালোবাজারি দের অধীনে চলে যায় ।ভিজিএফের চাল ওজনের কম দিয়ে দু:স্হ্যদের ভিজিএফ চাল এক কালোবাজীর চক্রের নিকট বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে ভিজিএফ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে কালোবাজারীদের হাট বসেছে সদর ইউনিয়নে। শনি ও রবিবার সকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০কেজির স্থলে ছয় থেকে সাত কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার,পরিষদের সচিবসহ সবাই যোগসাজশে ওজনের কম দিয়ে সিংহভাগ মাল কালোবাজারী চক্রের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় সদর ইউনিয়নের ভিজিডি ও ভিজিএফ বিতরণে কালোবাজারীদের হাট বসে। নাম মাত্র কিছু মাল বিতরণ দেখিয়ে সিংহভাগ মাল কালোবাজারী চক্রের মাধ্যমে কালোবাজারে পাচার করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪২৫ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য ৩৪ দশমিক ২৫০ মেক্ট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শুক্রবার ও শনিবার উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ইসলামপুর সদর ইউপির চেয়ারম্যান এ চাল উত্তোলন করেন। শনি ও রবিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ছয় থেকে সাত কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের গংগাপাড়া গ্রামের নুরভান বেগম, ও আসমা বেগম বলেন, আমাদের ১০ কেজির জায়গায় ৬ কেজি করে চাল দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। ৬ কেজি ওজনের চাল নিয়ে উপজেলায় ইউএনও স্যারের নিকট গিয়েছিলাম বিচার দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্যারকে অফিসে পায়নি।
কাচিহারা গ্রামের আলমাস মিয়া বলেন, সরকার আমাদের ১০ কেজি করে চাল দিছে। আর আমি পাইছি ছয় হতে সাত কেজি।
একই এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমাদেরকে চাল ওজনে কম দিয়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ওই ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বিআরডি কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, আমি থাকা অবস্থায় কাউকে চাল ওজনে কম দেওয়া হয়নি। হয়তো বা যখন বাহিরে গিয়াছিলাম তখন কম দিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আমাকে অনিয়মের কথা কেউ তাঁকে জানাননি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন সাংবাদিকদের জানান,যদি কেউ চাল কম পেয়ে থাকে তবে বিষয়টি আমি দেখছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু.তানভীর হাসান রোমান আমাদের জানান, তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার রয়েছে। তার পরেও কোন অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।