ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

রুচির দুর্ভিক্ষ

  • বিপ্লব হাসান
  • আপডেট সময় ০২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ৬২০ বার পড়া হয়েছে

বস্তুর বাহ্যিক আকৃতিতে অভিভূত না হয়ে তার আভ্যন্তরীণ সত্য উপলব্ধিতেই আছে সার্থকতা। আয়তনের দিক থেকে বিশালত্ব, চাকচিক্যের দিক থেকে ঔজ্জ্বল্য শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক নয়।

বাংলা চলচ্চিত্র, নাট্যজগত কিংবা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌতুককার বা জোকার ছিল হাস্যরস ও চিত্তবিনোদনের অন্যতম একটা অংশ। একজন দিলদার একজন টেলি-সামাদ কিংবা নাম নাজানা আরো অনেকে নিজ কর্মগুণে স্ব-স্বঅবস্থানে আজ স্মরণীয়। অনেক দিন আগের কথা, আমাদের প্রতিদিনকার আড্ডায় আমার সবচেয়ে কাছের প্রিয় বন্ধু কোনো এক অজানা কারণে তথাকথিত হিরো আলমের প্রসঙ্গ আসলে সে কেমন এড়িয়ে যেত বা উপেক্ষা করে চুপচাপ থাকতো। আমরা অন্যরা তথাকথিত হিরো আলমকে নিয়ে হাসাহাসি করতাম তখন সে কোনো ভ্রুক্ষেপ করতো না। বাস্তবে এখন বুঝতেছি নুরউদ্দিনের চুপ থাকার অন্যতম কারণ রুচির দুর্ভিক্ষ!!!

সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যার্থতায়ই আজ অপ-সংস্কৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পেরেছে। নব্বই দশকের পূর্বে সাংস্কৃতিক কর্মীদের যে সাধনা ছিল, এখন আর তা দেখতে পাই না। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আজ যা চলছে সেখানে বেশীরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীদের কোন সাধনা নেই। অথচ টিভি খুললেই তাদের দেখতে পাই। এটাই বর্তমান অবক্ষয়ের প্রধান কারণ। ত্যাগ ছাড়াতো কিছু পাওয়া যায়না। এত মিডিয়া; যা আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক হওয়ার কথা ছিল, সেই মিডিয়ায় আমরা আজ কাদের অভিনয় করতে দেখছি? সাহিত্য চর্চা যখন পান্তাভাত হয়ে উঠে, জোর করে হাঁসানোর চেষ্টা করায়, তাতো সাহিত্য নয়! আমরা আপনাদের কাজ, চেতনা ও জ্ঞানে আকর্ষিত হয়ে আপনাদের প্রতি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে চাই। যেমনটি পূর্বের সাংস্কৃতিক বোদ্ধাদের প্রতি তাকিয়ে থেকে শান্তি পেতাম। আজ আমরা ঘনকাল মেঘে ঢাকা পরে গিয়েছি। কবে সরে যাবে এই অশুভ মেঘের ভেলা।

আমি এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে আমাদের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আরো কিছু ত্যাগই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আলোকিত পথ তৈরি করে রেখে যাওয়া। নতুবা এই রুচির দুর্ভিক্ষের প্রকোপে হিরো আলমের মত অসংখ্য গলে-পচেঁ যাওয়া বিকৃত প্রাণীর জন্ম হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

রুচির দুর্ভিক্ষ

আপডেট সময় ০২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

বস্তুর বাহ্যিক আকৃতিতে অভিভূত না হয়ে তার আভ্যন্তরীণ সত্য উপলব্ধিতেই আছে সার্থকতা। আয়তনের দিক থেকে বিশালত্ব, চাকচিক্যের দিক থেকে ঔজ্জ্বল্য শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক নয়।

বাংলা চলচ্চিত্র, নাট্যজগত কিংবা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌতুককার বা জোকার ছিল হাস্যরস ও চিত্তবিনোদনের অন্যতম একটা অংশ। একজন দিলদার একজন টেলি-সামাদ কিংবা নাম নাজানা আরো অনেকে নিজ কর্মগুণে স্ব-স্বঅবস্থানে আজ স্মরণীয়। অনেক দিন আগের কথা, আমাদের প্রতিদিনকার আড্ডায় আমার সবচেয়ে কাছের প্রিয় বন্ধু কোনো এক অজানা কারণে তথাকথিত হিরো আলমের প্রসঙ্গ আসলে সে কেমন এড়িয়ে যেত বা উপেক্ষা করে চুপচাপ থাকতো। আমরা অন্যরা তথাকথিত হিরো আলমকে নিয়ে হাসাহাসি করতাম তখন সে কোনো ভ্রুক্ষেপ করতো না। বাস্তবে এখন বুঝতেছি নুরউদ্দিনের চুপ থাকার অন্যতম কারণ রুচির দুর্ভিক্ষ!!!

সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যার্থতায়ই আজ অপ-সংস্কৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পেরেছে। নব্বই দশকের পূর্বে সাংস্কৃতিক কর্মীদের যে সাধনা ছিল, এখন আর তা দেখতে পাই না। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আজ যা চলছে সেখানে বেশীরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীদের কোন সাধনা নেই। অথচ টিভি খুললেই তাদের দেখতে পাই। এটাই বর্তমান অবক্ষয়ের প্রধান কারণ। ত্যাগ ছাড়াতো কিছু পাওয়া যায়না। এত মিডিয়া; যা আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক হওয়ার কথা ছিল, সেই মিডিয়ায় আমরা আজ কাদের অভিনয় করতে দেখছি? সাহিত্য চর্চা যখন পান্তাভাত হয়ে উঠে, জোর করে হাঁসানোর চেষ্টা করায়, তাতো সাহিত্য নয়! আমরা আপনাদের কাজ, চেতনা ও জ্ঞানে আকর্ষিত হয়ে আপনাদের প্রতি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে চাই। যেমনটি পূর্বের সাংস্কৃতিক বোদ্ধাদের প্রতি তাকিয়ে থেকে শান্তি পেতাম। আজ আমরা ঘনকাল মেঘে ঢাকা পরে গিয়েছি। কবে সরে যাবে এই অশুভ মেঘের ভেলা।

আমি এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে আমাদের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আরো কিছু ত্যাগই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আলোকিত পথ তৈরি করে রেখে যাওয়া। নতুবা এই রুচির দুর্ভিক্ষের প্রকোপে হিরো আলমের মত অসংখ্য গলে-পচেঁ যাওয়া বিকৃত প্রাণীর জন্ম হবে।