সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে পরিচ্ছন্নকর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিডব্লিউবি (ভিজিডি) কার্ড না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াশত আলীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আবুরহাটি গ্রামের তাজুল ইসলাম ওরফে তাইসলাম মিয়ার স্ত্রী নাজমিন বেগম ও একই গ্রামের ইছব আলীর স্ত্রী চাঁনপুর বাজারের পরিচ্ছন্নকর্মী মনোয়ারা বেগমকে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে উভয়ের কাছ থেকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরো জানাযায়, বাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী মনোয়ারা বেগম ও নাজমিন আক্তার উভয়ের পরিবারই অস্বচ্ছল। তারা উৎকোচের এই টাকা ঋণ করে ইউপি সদস্য রিয়াশত আলীকে দিয়েছিলেন। গতকাল চাল বিতরণকালে ভুক্তভোগী দুই পরিবারের দুজন ইউপি পরিষদে চাল আনতে গেলে ভিজিডির তালিকায় তাদের নাম নেই বলে জানানো হয়। পরবর্তীতে তারা ইউপি সদস্য রিয়াশত আলীকে ভিজিডির তালিকায় নাম নেই কেন জানতে চাইলে কোনো জবাব দিতে পারেনি।
পরিচ্ছন্ন কর্মী মনোয়ারা বেগম বলেন, চানপুর রিয়াশদ মেম্বার ৫নং ওর্য়াড ভিজিডি কার্ডের জন্য ৫ হাজার টেহা নিছে, আমারে টেহাও দেয় নাই কার্ড দেয় নাই আমি বাজারে কাম কইরা খাই। একই গ্রামের নাজমিন বেগম বলেন চান পুরের মেম্বার রিয়াশদ ৫ নং ওর্য়াড আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টেহা নিছে আমারে ভিজিডি কার্ডের নাম দেয় নাই।
আরো জানান, ধারদেনা করে ইউপি সদস্যকে দেয়া উৎকোচের টাকা এখনো ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিয়াশদ ইউপি সদস্য কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে অবাক লাগছে এই রকম চিন্তা চেতনা নাই যড়যন্ত্র মূলক আমাকে ফাশানোর জন্য কেউ করতে পারে আমি জানিনা সম্পুর্ন মিথ্যা।
অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি রিয়াশত মেম্বারের বিরুদ্ধে দুইটা অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো তদন্ত করে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।