ব্ল্যাকমেইল করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার তালতলী থানার কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ফের বিয়ের দাবিতে থানায় অনশনে বসেন ওই নারী।
কনস্টেবল আসাদুজ্জামান বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অনশন ভাঙেন তিনি। এরআগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টা থেকে তালতলী থানায় ওই নারী অনশনে বসেন। তরুণীর ভাষ্যমতে, বরগুনার বেতাগী থানায় কর্মরত অবস্থায় ২০০৯ সালে কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বেতাগী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর আগে বেতাগী কাজি অফিসে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন তারা। পরে বেতাগীতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন।
পরে ২০২২ সালের মাঝামাঝির দিকে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর কিছুদিন পর আসাদুজ্জামান ফের ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে বিয়ের সময় তাদের অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন। এতে বাধ্য হয়ে আবার সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী। বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি বিয়ের কথা বলে কুয়াকাটায় একটি হোটেলে তারা রাত্রিযাপন করেন। পরের দিন সকালে বিয়ে না করে হোটেল থেকে চলে আসেন আসাদুজ্জামান। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ওই তরুণী। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন আসাদুজ্জামান তালতলী থানায় কর্মরত আছেন। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে তালতলী আসেন ওই তরুণী। এসে আসাদুজ্জামানকে ফোন দিলে তিনি সরাসরি দেখা করেন। পরে বিয়ের কথা বলে সারাদিন তালতলীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন।
একপর্যায়ে বাজারের একটি খাবার হোটেলে তরুণীকে একা ফেলে পালিয়ে যান কনস্টেবল আসাদুজ্জামান। এরপর তরুণী থানায় যান এবং বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। এ বিষয়ে তরুণী বলেন, ‘বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি থানা থেকে বের হবো না। আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যদি আমার বিয়ে না হয় তাহলে আমি থানার সামনে আত্মহত্যা করবো।’ জানতে চাইলে কনস্টেবল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি তাকে বিয়ে করবো। আমাদের ভেতরে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই। আমি আজকের ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করবো।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, কনস্টেবল আসাদুজ্জামানকে বিয়ের দাবিতে এক তরুণী থানায় এসেছেন। বিষয়টি আমরা দেখছি। মেয়ের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।