ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

কুমিল্লা জোড়া খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি, অন্যজনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই শিশু হত্যার মামলায় চাচি ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দাদি মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ ৩১শে জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের রোজিনা খাঁন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত শিশু মো. জসিম (৭) শাহ আলমের ছেলে ও ইয়াছিন আরাফাত (৮) মোঃবিল্লাল হোসেনের ছেলে।

উক্ত ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২০) ও সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫)। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে কুমিল্লার মুরাদনগরের লাজৈর এলাকায় ওই দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন আসামিরা।

এ ঘটনায় শিশু আরাফাতের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বাদী হয়েছে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহার সুএে জানা যায়‘ঘটনার দিন দুপুরে ওই দুই শিশু বাড়ির একটি আমগাছের নিচে খেলছিল।

এ সময় চকলেট দেওয়ার কথা বলে ইয়াসমিন দুজনকে ডেকে নিয়ে পাশের ভুট্টা খেতে যায়। পরে আরাফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। পুরো হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে মাজেদা বেগম।

তবে, এ ঘটনা দেখে ফেলে অপর এক শিশু। সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি সবাইকে জানায়। পরে ওই শিশুটির দেখানো জায়গা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।’

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলার চার্জশিট করেন। মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ রায়ে সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

কুমিল্লা জোড়া খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি, অন্যজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই শিশু হত্যার মামলায় চাচি ইয়াসমিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দাদি মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ ৩১শে জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের রোজিনা খাঁন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত শিশু মো. জসিম (৭) শাহ আলমের ছেলে ও ইয়াছিন আরাফাত (৮) মোঃবিল্লাল হোসেনের ছেলে।

উক্ত ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২০) ও সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫)। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে কুমিল্লার মুরাদনগরের লাজৈর এলাকায় ওই দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করেন আসামিরা।

এ ঘটনায় শিশু আরাফাতের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বাদী হয়েছে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহার সুএে জানা যায়‘ঘটনার দিন দুপুরে ওই দুই শিশু বাড়ির একটি আমগাছের নিচে খেলছিল।

এ সময় চকলেট দেওয়ার কথা বলে ইয়াসমিন দুজনকে ডেকে নিয়ে পাশের ভুট্টা খেতে যায়। পরে আরাফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। পুরো হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে মাজেদা বেগম।

তবে, এ ঘটনা দেখে ফেলে অপর এক শিশু। সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি সবাইকে জানায়। পরে ওই শিশুটির দেখানো জায়গা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।’

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলার চার্জশিট করেন। মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ রায়ে সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।