সাজার মেয়াদ শেষ, তবু নিজ দেশ ভারতে ফিরতে পারছেন না। তারা দীর্ঘদিন যাবত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। বন্দীদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন বাংলা ভাষা বলতে ও বুঝতে পারেন। অন্যদের ভাষা কেউ বুঝতে পারেন না। যে কারণে অত্যন্ত মানবেতর দিন কাটছে তাদের। ভারত সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ৩১ ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনেক আগেই অনুমোদন দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যশোরস্থ ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নিকট একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। ]
তবে ৪৯ বিজিবি, যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্তৃক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএসএফ কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হলেও সেখান থেকে এখনও কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। যশোর কারাগার সূত্রে আরও জানা যায়,এই ৩১ জন ভারতীয় বন্দীর মধ্যে প্রায় সবাই বিনা পাসপোর্টে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশের পুলিশের হাতে আটক হন।
পরে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। বন্দীদের বেশির ভাগ লেখাপড়া জানেন না। তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। যে কারণে তাদেও দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কী করতে হবে, তাদের পরিবারের লোকজনের তা জানা নেই।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা লিগ্যাল এইড সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। যশোরের মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তারা শিগগিরই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নিবাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান।