ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি সূর্যমুখীর মাঠ। এর মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছেন ছয় জন ব্যক্তি। তারা সবাই কাজ করেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখন বেশ জনপ্রিয়। পোস্ট করার তিন দিনের মাথায় মিলিয়ন ছড়িয়েছে ছবিটির রিচ। কোনো রকমের প্রমোট ছাড়াই। অর্থাৎ ১০ লক্ষাধিক মানুষ ছবিটি দেখেছেন।
গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) হাকালুকি হাওরের চাতলা বিলে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, আইইউসিএন ও পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিম এর যৌথ উদ্যোগে পরিযায়ী পাখি নিয়ে সচেতনমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের পর তারা সবাই হাকালুকির সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন করেন। এবং ছবিটি পোস্ট করেন। ছবিটি পোস্ট করা হয় কামরুল হাসান নোমান নামের পেইজ থেকে। তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী। কাজ করেন দৈনিক ইত্তেফাকে। মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি এত লোকের কাছে পৌঁছল কিভাবে? সেটি জানালেন কামরুল হাসান নোমান।
তিনি বলেন, “আসলে সূর্যমুখীর তেল ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত। এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে। আমার পেইজের বিভিন্ন ছবি আগেও মিলিয়ন প্লাস রিচ হয়েছে। তবে এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পিছনের কারণ হিসেবে আমি মনে করি প্রাকৃতিক ফুলের ছবি থাকায় মানুষ এটিকে খুব পছন্দ করেছে। ”
এই ছবিতে থাকা পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের অন্যতম সদস্য খোর্শেদ আলম বলেন, “শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখির আগমন, দেশীয় হরেক রকমের মাছের সমাহারসহ বিভিন্ন কারণে বরাবরই পর্যটকদের নজর কাড়ে এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকি। শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলেরও চাষ হয় সেখানে। পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলের ছবি প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়ে। এইসব মিলিয়ে মুহূর্তে অনিন্দ্য সুন্দর এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।”