উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফয়সল চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা গেল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের বহুমুখী ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে।
তারা নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কিভাবে সীমিত লোকবল নিয়েও কিভাবে নিরলসভাবে সরকারের প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন মাধ্যমে সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনের চেষ্টা সম্পর্কেও। বিআরডিবি মাধবপুর অফিসসুত্রে জানা গেল,বর্তমানে ৯ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছেন তারা। যার মধ্যে আবর্তক ঋণ কর্মসূচী,মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি,সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি (সদাবিক),পল্লী প্রগতি প্রকল্প,মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি,পিআরডিপি-৩,অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরন প্রকল্প,গুচ্ছগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি অন্যতম।
এদের মাধ্যমে গুচ্ছগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বুল্লা ইউনিয়নের ধনকোরা গ্রামের ৩০টি পরিবারকে তারা বিভিন্ন পরিমাণে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১২জন উদ্যোক্তা বারেমিং কম্পোস্ট বা কেচো সারের প্রকল্প তৈরি করেছে।
এছাড়া মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সালেহা চৌধুরী নামে জনক মহিলা সমবায় পরষ্কারেও ভূষিত হয়েছেন। আরো জানা যায়,মাধবপুরের পল্লী উন্নয়ন ভবনটি এক সময়ের জরাজীর্ণ ভঙ্গুর ছিল।অফিস করার মত পরিস্থিতি ছিল না ।মাধবপুরের পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল ফয়সাল চৌধুরীর অকান্ত প্রয়াস ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবনটিতে নিজ বিভাগের বরাদ্দ এনে সংস্কার ও সজ্জিত করেন।
উপজেলার বিআরডিবি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন,আমাদের বিআরডিবি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিশেষ করে পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তিনি যেভাবে সংগ্রাম করে বিআরডিবি ভবনটিকে সাজিয়েছেন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন সেটি প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। ডিপার্টমেন্টে এ ধরনের লোক থাকলে সোনার বাংলা গড়ে উঠতে সময় লাগবে না।
উল্লেখ্য,১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। যা ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে পরিবর্তিত হয়।বিআরডিবি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়াধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতায় “পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাস” এর কাজে নিয়োজিত একটি বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান।