ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনকে উপেক্ষা করতে পারবে না বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনকে উপেক্ষা করতে পারবে না বাংলাদেশ , মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ।

তিনি বলেছেন , দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠি এক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, “আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো তিনটি দেশ; যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন। এগুলো শক্তিশালী দেশ।

আমাদের এই তিনটি দেশের সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, যাতে প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হতে পারে। বাংলাদেশ কোনো দেশকে উপেক্ষা করতে পারে না এবং ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর, ভবিষ্যত বিশ্ব হবে এশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিশ্ব।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান শক্তি এবং বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

তাছাড়া, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।” ড. মোমেন জি-২০-এর সকল বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে আব্দুল মোমেনের; যা আগামী ১ ও ২ মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সমানভাবে সুসম্পর্ক রাখা সহজ নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন বাস্তববাদী নেতা থাকায় বাংলাদেশ এটি স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে পারছে।”

আব্দুল মোমেন রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। বলেন, “বাংলাদেশের তিনটি প্রধান সম্পদ রয়েছে: মানবসম্পদ, উর্বর জমি ও পানি।” এই তিনটি সম্পদ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনকে উপেক্ষা করতে পারবে না বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনকে উপেক্ষা করতে পারবে না বাংলাদেশ , মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ।

তিনি বলেছেন , দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠি এক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, “আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো তিনটি দেশ; যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন। এগুলো শক্তিশালী দেশ।

আমাদের এই তিনটি দেশের সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, যাতে প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হতে পারে। বাংলাদেশ কোনো দেশকে উপেক্ষা করতে পারে না এবং ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ এখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর, ভবিষ্যত বিশ্ব হবে এশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিশ্ব।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান শক্তি এবং বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

তাছাড়া, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।” ড. মোমেন জি-২০-এর সকল বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে আব্দুল মোমেনের; যা আগামী ১ ও ২ মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সমানভাবে সুসম্পর্ক রাখা সহজ নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন বাস্তববাদী নেতা থাকায় বাংলাদেশ এটি স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে পারছে।”

আব্দুল মোমেন রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। বলেন, “বাংলাদেশের তিনটি প্রধান সম্পদ রয়েছে: মানবসম্পদ, উর্বর জমি ও পানি।” এই তিনটি সম্পদ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।