ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোবেল পাননি— মন্তব্য উপাচার্যের, জবাবে যা বললেন অমর্ত্য সেন

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে। ওই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, ‘অমর্ত্য সেন নোবেল লরিয়েট নয়, উনি নোবেল প্রাইজ পাননি’।

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এমন মন্তব্য শুনে হেসে ফেলেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। এমনটা ভাবলে উনার চিন্তাশক্তি নিয়ে ভাবার কারণ আছে।’ অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পাননি— এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘নোবেল প্রাইজের যে ডিড তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে পাঁচ জনকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হবে। যে পাঁচটি বিষয়ে নোবেল দেওয়ার কথা, সেগুলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্ব শান্তি। এর বাইরে আর কেউ নোবেল পাবেন না।’

১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান বাঙালি অমর্ত্য সেন। উপাচার্য বলেন, ‘পরে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাংক এগিয়ে আসে। তাদের অর্থে একটি পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাংক অব সুইডেন প্রাইজ ইন ইকনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না।’ জমি দখল ইস্যুতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘অমর্ত্য সেন আদালতে যাচ্ছেন না, কারণ গেলেই হেরে যাবেন।’ বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপাচার্য।

জানা গেছে, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিমেল জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। এই জমিতেই গড়ে উঠেছে অমর্ত্য সেনদের পারিবারিক বাড়ি ‘প্রতীচী’। ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে জমির লিজ তার নামে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বিশ্বভারতীর দাবি, জমি মেপে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি লিজ দেওয়া জমির মাঝে বিশ্বভারতীর নিজস্ব ১৩ ডেসিমেল জমিও রয়েছে ‘প্রতীচী’র সীমানার ভেতরে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবেল পাননি— মন্তব্য উপাচার্যের, জবাবে যা বললেন অমর্ত্য সেন

আপডেট সময় ১২:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে। ওই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, ‘অমর্ত্য সেন নোবেল লরিয়েট নয়, উনি নোবেল প্রাইজ পাননি’।

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এমন মন্তব্য শুনে হেসে ফেলেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। এমনটা ভাবলে উনার চিন্তাশক্তি নিয়ে ভাবার কারণ আছে।’ অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পাননি— এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘নোবেল প্রাইজের যে ডিড তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে পাঁচ জনকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হবে। যে পাঁচটি বিষয়ে নোবেল দেওয়ার কথা, সেগুলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্ব শান্তি। এর বাইরে আর কেউ নোবেল পাবেন না।’

১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান বাঙালি অমর্ত্য সেন। উপাচার্য বলেন, ‘পরে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাংক এগিয়ে আসে। তাদের অর্থে একটি পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাংক অব সুইডেন প্রাইজ ইন ইকনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না।’ জমি দখল ইস্যুতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘অমর্ত্য সেন আদালতে যাচ্ছেন না, কারণ গেলেই হেরে যাবেন।’ বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপাচার্য।

জানা গেছে, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিমেল জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। এই জমিতেই গড়ে উঠেছে অমর্ত্য সেনদের পারিবারিক বাড়ি ‘প্রতীচী’। ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে জমির লিজ তার নামে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বিশ্বভারতীর দাবি, জমি মেপে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি লিজ দেওয়া জমির মাঝে বিশ্বভারতীর নিজস্ব ১৩ ডেসিমেল জমিও রয়েছে ‘প্রতীচী’র সীমানার ভেতরে।