রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই শিশু এবং এক কলেজ ছাত্রসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, আব্দুর রহিম (৯), তার মামাতো – ফুফাতো বোন লামিয়া ওরফে সোনিয়া (৬) ও কলেজ ছাত্র মো: শ্রাবন (২০)। নিহত রহিমের বাবার নাম রোমান মিয়া ও সোনিয়ার বাবার নাম রাশেদ মিয়া। এদের মধ্যে নিহত শ্রাবণ রাজধানীর দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চৌরিরটেক এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসান বাগ (সিলেটিবাজার) পাঁচতলা এবং গতকাল মধ্যরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো.বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য জানান। পুলিশ ও দুই শিশুর আত্নীয় রোমান মিয়া জানান, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা দিকে বাড়ির পাঁচ তলা ছাদে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল তারা । হঠাৎ করে ছাদের রেলিং না থাকায় তারা দুই জন আব্দুর রহিম (৯), তার মামাতো বোন লামিয়া ওরফে সোনিয়া (৬) এক সাথে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দুই জনকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশুর আত্নীয়রা বলছে, দুই শিশুই পরিবারের সঙ্গে ওই এলাকার একটি পাঁচতলায় ভবনের থাকতো। আব্দুর রহিমের মামাতো ফুফাতো বোন হয় সোনিয়া। রহিমের বাবার নাম রোমান মিয়া ও সোনিয়ার বাবার নাম রাশেদ মিয়া।
পুলিশ ও নিহতের বন্ধু নাহিদ জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মোটরসাইকেল করে ঘুরতে গিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কলেজছাত্র শ্রাবণ (২০) গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ৪ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শ্রাবন উত্তরার ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। ।
ওসি মো.বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত দুই শিশু এবং এক কলেজ ছাত্রসহ তিন জনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।