ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের জীবন সংগ্রামী তরুণ নেজামুল হক

২৫ বছর বয়সী তরুণ নিজামুল হককে জীবন সংগ্রামী তরুন বলা যায়।স্থানীয় কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স চতুর্থ বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী সে। কবিতা লেখা ও চর্চায় তার বেশ আগ্রহও রয়েছে তার। নববিবাহিত এই যুবকের একটি ফুটফুটে বাচ্চা সন্তানও রয়েছে। সে ভেটেরিনারি উপর এআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।প্রানি চিকিৎসায় ডিপ্লোমা ডিগ্রিও রয়েছে তার।

হবিগঞ্জে যুব উন্নয়ন দপ্তর থেকে গবাদিপশুর চিকিৎসায় নিয়েছে দীর্ঘ্য মেয়াদি প্রশিক্ষনও।ইতোমধ্যে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে গবাদি পশুর চিকিৎসায় মা ভেটেরিনারি ফার্মেসি সেন্টার পরিচালনা করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। পশুর প্রজনন ও হাঁস- মুরগি,গরু-ছাগলের চিকিৎসায় নেজামুল সবার পরিচিত মুখ।হাসিমুখে প্রাণী চিকিৎসা ও প্রজননে তার বিরামহীন অবদানকে অনেকেই স্বীকার করেন। এ বয়সের যুবকরা অনেকে যেখানে হতাশা বিষন্নতা,ফেসবুক,প্রেম ও মাদকের পিছনে সময় ব্যয় করে এই সময়,এই কাল, এই বয়সের একটা যুবক বিয়ে করে সংসার করে নিজের পরিশ্রমে গরুর খামার চালিয়ে ও প্রাণী চিকিৎসা বিরামহীন কর্মতৎপরতা অনেকের পথ চলার আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়ে।

হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির হরিণখোলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এই যুবকের জন্ম ও বসবাস। ছোটবেলা থেকেই কষ্ট ও সংগ্রাম করে লেখাপড়া ও রুজি-রোজগার করতেন। নেজামুল সাহিত্য,ধর্ম ও জীবন-জগৎ নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করতে শোনা যায়।সে আন্তঃধর্মীয় মিল নিয়ে চিন্তা করে। সে ভাবে ইউরোপিয়ান সাহিত্যের চেয়ে এ বাংলার বাউল ও কবিদের জ্ঞান ও জীবন উপলব্ধি আরো গভীর ও বাস্তবসম্মত। একদিন সে বলেছিল মানব জীবনের দুঃখের কারণ একটাই কারণ মানুষ এই পৃথিবীর জীব নয়। অন্যান্য সব জীবের জন্ম এই পৃথিবীতে কিন্তু মানুষের জন্ম স্বর্গে তাই এ পৃথিবী মানষের বসবাসের উপযুক্ত নয় যার কারণে মানুষের দুঃখের শেষ নেই।তাই পৃথিবীতে মানুষের দুঃখ আছে থাকবে।এতে বিলাপ করার কিছু নেই।

কাজ,কাজ এবং কাজ এ নিয়েই মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। ইদানীং নেজামুলের ভেটেরিনারি ফার্মেসি ব্যবসা বেশ জমজমাট।প্রায়ই সকাল ও দুপুর মুহূর্তে স্কুলের শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি প্রাইভেট পড়ায় সে। কিছুদিন আগে সে একটি কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু আইন ও বিধিমালার বাধায় মাধবপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব সিদ্দিকুর রহমান তাকে কিন্ডারগার্ডেনের নিবন্ধন দেয়নি। এতে নেজামুল কিছু দিন মন খারাপ করলেও পরে সে ভেটেনারি সেবায় মনোনিবেশ করে। তার ফার্মেসিতে লক্ষাধিক টাকার মূলধনের ঔষধ রয়েছে।

নেজামুল বলে জীবনে তার অনেক বড় হতে হবে কিভাবে হবে সে জানেনা।তবে সে মনে করে কাজ করার মধ্যে দিয়ে জীবনের বড় কোন অর্জন প্রাকৃতিক ভাবেই আসবে। তার বৈষয়িক কোন সমস্যা আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে সে পুঁজি সংকটের কথা ব্যক্ত করে। সে জানায় সরকারি ব্যাংক যদি তাকে কোন সহজ শর্তে একটা ঋণ দিত তবে সে উদ্যোক্তা হিসেবে খামার ও ফার্মেসি ব্যবসা আরো লাভের মুখ দেখতো পারতো প্রানীদের চিকিৎসা সেবা,টিউশনি,সংসার ও বাড়ির নিজস্ব গরুর খামার সেই সাথে তার শিল্প-সাহিত্য চর্চা নিয়ে চলছে তার আনন্দময় সংগ্রামী জীবন।

Tag :

One thought on “হবিগঞ্জের জীবন সংগ্রামী তরুণ নেজামুল হক

  1. ভাই আপু নেজামূল কে বলেন বড় ভাই বিদেশ থেকে টাকা দিছে আর ছোট ভাই দেশে লেখা পড়া করে প্রতিষ্ঠিত। এখন একবার কি মনে পরে

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জের জীবন সংগ্রামী তরুণ নেজামুল হক

আপডেট সময় ০২:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

২৫ বছর বয়সী তরুণ নিজামুল হককে জীবন সংগ্রামী তরুন বলা যায়।স্থানীয় কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স চতুর্থ বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী সে। কবিতা লেখা ও চর্চায় তার বেশ আগ্রহও রয়েছে তার। নববিবাহিত এই যুবকের একটি ফুটফুটে বাচ্চা সন্তানও রয়েছে। সে ভেটেরিনারি উপর এআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।প্রানি চিকিৎসায় ডিপ্লোমা ডিগ্রিও রয়েছে তার।

হবিগঞ্জে যুব উন্নয়ন দপ্তর থেকে গবাদিপশুর চিকিৎসায় নিয়েছে দীর্ঘ্য মেয়াদি প্রশিক্ষনও।ইতোমধ্যে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে গবাদি পশুর চিকিৎসায় মা ভেটেরিনারি ফার্মেসি সেন্টার পরিচালনা করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। পশুর প্রজনন ও হাঁস- মুরগি,গরু-ছাগলের চিকিৎসায় নেজামুল সবার পরিচিত মুখ।হাসিমুখে প্রাণী চিকিৎসা ও প্রজননে তার বিরামহীন অবদানকে অনেকেই স্বীকার করেন। এ বয়সের যুবকরা অনেকে যেখানে হতাশা বিষন্নতা,ফেসবুক,প্রেম ও মাদকের পিছনে সময় ব্যয় করে এই সময়,এই কাল, এই বয়সের একটা যুবক বিয়ে করে সংসার করে নিজের পরিশ্রমে গরুর খামার চালিয়ে ও প্রাণী চিকিৎসা বিরামহীন কর্মতৎপরতা অনেকের পথ চলার আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়ে।

হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির হরিণখোলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এই যুবকের জন্ম ও বসবাস। ছোটবেলা থেকেই কষ্ট ও সংগ্রাম করে লেখাপড়া ও রুজি-রোজগার করতেন। নেজামুল সাহিত্য,ধর্ম ও জীবন-জগৎ নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করতে শোনা যায়।সে আন্তঃধর্মীয় মিল নিয়ে চিন্তা করে। সে ভাবে ইউরোপিয়ান সাহিত্যের চেয়ে এ বাংলার বাউল ও কবিদের জ্ঞান ও জীবন উপলব্ধি আরো গভীর ও বাস্তবসম্মত। একদিন সে বলেছিল মানব জীবনের দুঃখের কারণ একটাই কারণ মানুষ এই পৃথিবীর জীব নয়। অন্যান্য সব জীবের জন্ম এই পৃথিবীতে কিন্তু মানুষের জন্ম স্বর্গে তাই এ পৃথিবী মানষের বসবাসের উপযুক্ত নয় যার কারণে মানুষের দুঃখের শেষ নেই।তাই পৃথিবীতে মানুষের দুঃখ আছে থাকবে।এতে বিলাপ করার কিছু নেই।

কাজ,কাজ এবং কাজ এ নিয়েই মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। ইদানীং নেজামুলের ভেটেরিনারি ফার্মেসি ব্যবসা বেশ জমজমাট।প্রায়ই সকাল ও দুপুর মুহূর্তে স্কুলের শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি প্রাইভেট পড়ায় সে। কিছুদিন আগে সে একটি কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু আইন ও বিধিমালার বাধায় মাধবপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব সিদ্দিকুর রহমান তাকে কিন্ডারগার্ডেনের নিবন্ধন দেয়নি। এতে নেজামুল কিছু দিন মন খারাপ করলেও পরে সে ভেটেনারি সেবায় মনোনিবেশ করে। তার ফার্মেসিতে লক্ষাধিক টাকার মূলধনের ঔষধ রয়েছে।

নেজামুল বলে জীবনে তার অনেক বড় হতে হবে কিভাবে হবে সে জানেনা।তবে সে মনে করে কাজ করার মধ্যে দিয়ে জীবনের বড় কোন অর্জন প্রাকৃতিক ভাবেই আসবে। তার বৈষয়িক কোন সমস্যা আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে সে পুঁজি সংকটের কথা ব্যক্ত করে। সে জানায় সরকারি ব্যাংক যদি তাকে কোন সহজ শর্তে একটা ঋণ দিত তবে সে উদ্যোক্তা হিসেবে খামার ও ফার্মেসি ব্যবসা আরো লাভের মুখ দেখতো পারতো প্রানীদের চিকিৎসা সেবা,টিউশনি,সংসার ও বাড়ির নিজস্ব গরুর খামার সেই সাথে তার শিল্প-সাহিত্য চর্চা নিয়ে চলছে তার আনন্দময় সংগ্রামী জীবন।