ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

জ্বালানি সংকট নিরসনে আশা দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাসকূপ

চলমান জ্বালানি সংকটে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে ভোলার নর্থ-২ গ্যাসকূপ। বাপেক্স কর্তৃক খননকৃত এই গ্যাসকূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস মিলবে- এমনটাই জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৪৬টি কূপ খননের যে প্রকল্প নিয়েছি, ভোলা নর্থ-২ তারই অংশ। এখান থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দুই-এক দিনের মধ্যে সঠিক তথ্য জানতে পারব। জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস যুক্ত করার বিষয়েও কার্যক্রম চলছে।

চুক্তি অনুযায়ী, গত ১৯ আগস্ট টবগী-১ কূপ খননের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে গ্যাজপ্রম। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর টবগী-১ কূপ থেকে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

দেশে বর্তমানে ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের মোট ৪৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে প্রায় এক দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএস) গ্যাস। এই গ্যাসক্ষেত্রের চারটি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে উত্তোলন করা হচ্ছে ৪৫-৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এখানকার গ্যাস বর্তমানে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি কারখানা ও আবাসিক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া শাহবাজপুর ইস্ট কূপে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট এবং ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করছে বাপেক্স।

অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এসব গ্যাসক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবে অন্যান্য সম্ভাবনাময় গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা গেলে জ্বালানি সংকট অনেকটাই কমে যাবে বলে মতামত তাদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ আহমেদ বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ভোলা নর্থ-২ কূপে গ্যাস প্রাপ্তি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরিমাণে খুব বেশি নয়।

তিনি বলেন, কিন্তু ছোট আকারের যদি আরও ১০ থেকে ২০টি কূপ অনুসন্ধান করা যায়, তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলবে। কারণ আমাদের দেশে গ্যাসের এখনো যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে এলএনজি আমদানির পরিমাণ যেমন কমবে, তেমনি জ্বালানি সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

জ্বালানি সংকট নিরসনে আশা দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাসকূপ

আপডেট সময় ০৩:৩০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

চলমান জ্বালানি সংকটে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে ভোলার নর্থ-২ গ্যাসকূপ। বাপেক্স কর্তৃক খননকৃত এই গ্যাসকূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস মিলবে- এমনটাই জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৪৬টি কূপ খননের যে প্রকল্প নিয়েছি, ভোলা নর্থ-২ তারই অংশ। এখান থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দুই-এক দিনের মধ্যে সঠিক তথ্য জানতে পারব। জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস যুক্ত করার বিষয়েও কার্যক্রম চলছে।

চুক্তি অনুযায়ী, গত ১৯ আগস্ট টবগী-১ কূপ খননের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে গ্যাজপ্রম। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর টবগী-১ কূপ থেকে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

দেশে বর্তমানে ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের মোট ৪৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে প্রায় এক দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএস) গ্যাস। এই গ্যাসক্ষেত্রের চারটি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে উত্তোলন করা হচ্ছে ৪৫-৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এখানকার গ্যাস বর্তমানে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি কারখানা ও আবাসিক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া শাহবাজপুর ইস্ট কূপে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট এবং ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করছে বাপেক্স।

অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এসব গ্যাসক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবে অন্যান্য সম্ভাবনাময় গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা গেলে জ্বালানি সংকট অনেকটাই কমে যাবে বলে মতামত তাদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ আহমেদ বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ভোলা নর্থ-২ কূপে গ্যাস প্রাপ্তি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরিমাণে খুব বেশি নয়।

তিনি বলেন, কিন্তু ছোট আকারের যদি আরও ১০ থেকে ২০টি কূপ অনুসন্ধান করা যায়, তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলবে। কারণ আমাদের দেশে গ্যাসের এখনো যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে এলএনজি আমদানির পরিমাণ যেমন কমবে, তেমনি জ্বালানি সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে।