ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জ্বালানি সনদ চুক্তি ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সরকারকে ডোবাবে- এনডিপি

  • রাজু আহমেদ, ঢাকা
  • আপডেট সময় ১০:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬১৫ বার পড়া হয়েছে

১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার,ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকারকে ডোবাতে বিরোধী দলের কোন প্রয়োজন নেই। তারা একের পর এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের কারণে নিজেদের ফাদেই নিজেরা ডুবে মরে যাবে। ক্ষমতা কারো জন্যই স্থায়ী নয়।

এ কথা যদি ভুলে যায় তাহলে ইতিহাসের সেই কালো দিনগুলোর কথা প্রধানমন্ত্রীর মনে করা উচিত। জনগণের অধিকার হরন করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকার একদিকে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে জ্বালানি সনদ চুক্তি করতে। এই সরকারের কারা পরামর্শদাতা তাদের নামের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণ কিভাবে ভোট দিতে হয় আস্তে আস্তে তা ভুলতে বসেছে। কারণ ভোট দেয়ার অধিকার এখন তাদের নেই। এ কারনেই যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের জনগণের প্রতি কোন জবাবদিহিতা নেই। আইনের শাসনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নেই। এভাবে জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে কতদিন দেশ চালানো যায়? নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, সারাদেশে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় উর্ধগতির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশের এক শ্রেণীর মানুষ তিন বেলা ঠিক মতো ভাত খেতে পারেনা।

অন্যদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে কেউ কেউ বেগম পাড়া তৈরী করে আয়েশী জীবন-যাপন করছে। একই দেশে দুই নীতি চলছে। বিরোধী দলের আন্দোলনকে রুখে দিতে গ্রেফতার এখন ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে। অথচ সেই ডাল ভাতও সাধারণ মানুষ অর্থের অভাবে খেতে পারছে না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এতে করে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় কমিশনের সংশোধন প্রস্তাবকে ঘিরে তৈরী জ্বালানি সনদ চুক্তির আইনি কাঠামো অনেকটাই একপেশে ও ভারসাম্যহীন। এটা আইনের জন্য একটি ফাঁদ। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের এই চুক্তি সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ায় জনজীবনে গভীর সংকট নেমে আসবে।

সাধারণ মানুষ আরো বেশি চাকুরীচ্যুত হয়ে পড়বে। কারণ শিল্পখাতে আরো একধাপ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বেকারত্ব বেড়ে যেতে পারে। মানুষের পকেটে টাকা না থাকলে সে কিভাবে পদ্মা সেতু পাড় হবে কিংবা মেট্রোরেলে উঠবে। সাধারণ মানুষের পকেট শূণ্য করে উন্নয়নের নামে তামাশা করার কোন প্রয়োজন নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারলে সংসদে বড় বড় কথা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়। নেতৃবৃন্দ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

জ্বালানি সনদ চুক্তি ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সরকারকে ডোবাবে- এনডিপি

আপডেট সময় ১০:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার,ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকারকে ডোবাতে বিরোধী দলের কোন প্রয়োজন নেই। তারা একের পর এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের কারণে নিজেদের ফাদেই নিজেরা ডুবে মরে যাবে। ক্ষমতা কারো জন্যই স্থায়ী নয়।

এ কথা যদি ভুলে যায় তাহলে ইতিহাসের সেই কালো দিনগুলোর কথা প্রধানমন্ত্রীর মনে করা উচিত। জনগণের অধিকার হরন করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকার একদিকে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে জ্বালানি সনদ চুক্তি করতে। এই সরকারের কারা পরামর্শদাতা তাদের নামের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণ কিভাবে ভোট দিতে হয় আস্তে আস্তে তা ভুলতে বসেছে। কারণ ভোট দেয়ার অধিকার এখন তাদের নেই। এ কারনেই যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের জনগণের প্রতি কোন জবাবদিহিতা নেই। আইনের শাসনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নেই। এভাবে জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে কতদিন দেশ চালানো যায়? নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, সারাদেশে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় উর্ধগতির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশের এক শ্রেণীর মানুষ তিন বেলা ঠিক মতো ভাত খেতে পারেনা।

অন্যদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে কেউ কেউ বেগম পাড়া তৈরী করে আয়েশী জীবন-যাপন করছে। একই দেশে দুই নীতি চলছে। বিরোধী দলের আন্দোলনকে রুখে দিতে গ্রেফতার এখন ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে। অথচ সেই ডাল ভাতও সাধারণ মানুষ অর্থের অভাবে খেতে পারছে না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এতে করে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় কমিশনের সংশোধন প্রস্তাবকে ঘিরে তৈরী জ্বালানি সনদ চুক্তির আইনি কাঠামো অনেকটাই একপেশে ও ভারসাম্যহীন। এটা আইনের জন্য একটি ফাঁদ। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের এই চুক্তি সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ায় জনজীবনে গভীর সংকট নেমে আসবে।

সাধারণ মানুষ আরো বেশি চাকুরীচ্যুত হয়ে পড়বে। কারণ শিল্পখাতে আরো একধাপ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বেকারত্ব বেড়ে যেতে পারে। মানুষের পকেটে টাকা না থাকলে সে কিভাবে পদ্মা সেতু পাড় হবে কিংবা মেট্রোরেলে উঠবে। সাধারণ মানুষের পকেট শূণ্য করে উন্নয়নের নামে তামাশা করার কোন প্রয়োজন নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে না পারলে সংসদে বড় বড় কথা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়। নেতৃবৃন্দ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।