ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভালুকায় রাস্তার বেহাল দশা, স্কুল শিক্ষার্থীসহ জনগণের দূর্ভোগ চরমে!!

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ঢালুয়া খানপাড়া উসমানের বাড়ির মোড়। থেকে কলিয়াঝুড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশা থাকায় শিক্ষার্থীদের এবং জনগণের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যে স্থানটিতে ১৯৭১ সালে মাত্র ১টি রাইফেলকে কেন্দ্র করে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ সারে ৪ হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়ে গড়ে তোলেছিলেন বিশাল আফসার বাহিনী।

বর্তমানে তারই সুযোগ্য ছেলে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন ঢালুয়া খাঁন বাড়ীতে যেখানে মুক্তিযোদ্ধের কেম্প করা হয়েছিল সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। তাছাড়া এখানে ঢালুয়া খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়া করে কেননা রাস্তাটি যানচলাচলের অনুপযোগী ।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের দাবী এখানে যে কাঁচা রাস্তাটি রয়েছে তা পাকাকরণ হলে তাদের চলাচলের সুবিধা সহ আফসার মেজরের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটুকু ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখা যাবে। সরেজমিনে দেখা যায় ,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

গ্রামের প্রায় হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে এ রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এমনকি রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যায় তাই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় গ্রামের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে একাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে রাস্তাটি, অনেক জায়গায় রাস্তার দুই ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছে ইউনিয়নের বিভিন্ন বড় রাস্তাসহ অনেক ছোটখাটো রাস্তা পাকা করণ করলেও এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করণ তো দূরের কথা রাস্তায় মাটি বড়াট করে উঁচু করা হচ্ছে না। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী জানান, ঢালুয়া খানপাড়ার এই রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে ভ্যান গাড়িসহ ছোট বড় একটা গাড়িও ঢুকতে সাহস পায় না, আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই গাড়িতো দূরের কথা পায়ে হেটেও যাওয়া যায় না। আমরা রাস্তার সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।

আমাদের রাস্তার করুন অবস্থা কিন্তু দেখার কেউ নেই।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিনেও রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়নি। তাই যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন। রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। রাস্তাটির সংস্কার হলে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।স্থানীয়রা আরো জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুলে যেতে পারে না। পাকাকরণের অভাবে এখন চলাচলের অযোগ্য। মেরামত করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

ভালুকায় রাস্তার বেহাল দশা, স্কুল শিক্ষার্থীসহ জনগণের দূর্ভোগ চরমে!!

আপডেট সময় ০৫:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ঢালুয়া খানপাড়া উসমানের বাড়ির মোড়। থেকে কলিয়াঝুড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশা থাকায় শিক্ষার্থীদের এবং জনগণের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যে স্থানটিতে ১৯৭১ সালে মাত্র ১টি রাইফেলকে কেন্দ্র করে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ সারে ৪ হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়ে গড়ে তোলেছিলেন বিশাল আফসার বাহিনী।

বর্তমানে তারই সুযোগ্য ছেলে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন ঢালুয়া খাঁন বাড়ীতে যেখানে মুক্তিযোদ্ধের কেম্প করা হয়েছিল সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। তাছাড়া এখানে ঢালুয়া খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়া করে কেননা রাস্তাটি যানচলাচলের অনুপযোগী ।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের দাবী এখানে যে কাঁচা রাস্তাটি রয়েছে তা পাকাকরণ হলে তাদের চলাচলের সুবিধা সহ আফসার মেজরের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটুকু ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখা যাবে। সরেজমিনে দেখা যায় ,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

গ্রামের প্রায় হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে এ রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এমনকি রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যায় তাই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় গ্রামের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে একাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে রাস্তাটি, অনেক জায়গায় রাস্তার দুই ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছে ইউনিয়নের বিভিন্ন বড় রাস্তাসহ অনেক ছোটখাটো রাস্তা পাকা করণ করলেও এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করণ তো দূরের কথা রাস্তায় মাটি বড়াট করে উঁচু করা হচ্ছে না। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী জানান, ঢালুয়া খানপাড়ার এই রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে ভ্যান গাড়িসহ ছোট বড় একটা গাড়িও ঢুকতে সাহস পায় না, আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই গাড়িতো দূরের কথা পায়ে হেটেও যাওয়া যায় না। আমরা রাস্তার সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।

আমাদের রাস্তার করুন অবস্থা কিন্তু দেখার কেউ নেই।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিনেও রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়নি। তাই যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন। রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। রাস্তাটির সংস্কার হলে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।স্থানীয়রা আরো জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুলে যেতে পারে না। পাকাকরণের অভাবে এখন চলাচলের অযোগ্য। মেরামত করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।