ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রার্থী হতে বাধা নেই হিরো আলমের : হাইকোর্ট

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থী হতে বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছিলেন হিরো আলম।

কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় গত ৮ জানুয়ারি তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে হিরো আলম ১০ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আপিল করেন। সেই আপিলও খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। সবশেষ তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর সর্বোচ্চ আদালতেই প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আগামীকাল থেকে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি হিরো আলম বলেছিলেন, হিরো আলমরা কখনো হতাশ হয় না। তারা জীবনটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করে।

মানুষ তাদের অনেক ভালোবাসে। তাদের সঙ্গে সবসময় থাকে। তখন মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছিলেন, হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। তখনও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশনেও তা বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। এরপর তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

প্রার্থী হতে বাধা নেই হিরো আলমের : হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০৩:২৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থী হতে বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছিলেন হিরো আলম।

কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় গত ৮ জানুয়ারি তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে হিরো আলম ১০ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আপিল করেন। সেই আপিলও খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। সবশেষ তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর সর্বোচ্চ আদালতেই প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আগামীকাল থেকে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি হিরো আলম বলেছিলেন, হিরো আলমরা কখনো হতাশ হয় না। তারা জীবনটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করে।

মানুষ তাদের অনেক ভালোবাসে। তাদের সঙ্গে সবসময় থাকে। তখন মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছিলেন, হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। তখনও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশনেও তা বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। এরপর তৎকালীন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।