ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ভালুকা উথুরা রেঞ্জার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিবের বাবা পরিচয় দিয়ে উথুরা রেঞ্জার হারুন অর রশিদ পর্দার আড়ালে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন নানা রকম দুর্নীতি আর সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘড় বাড়ী ভেংগে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাকিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।জনসাধারণের পৈতৃক ভিটার গাছপালা আটক দিয়ে কাঁঠ, বাঁশ বিক্রয় করে সরকারকে দেখাচ্ছেন রাজস্ব আর গরীব দুখি মানুষকে হারাতে হচ্ছে তাদের শেষ সহায় সম্বল বসতভিটা যা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরীক হিসাবে কাম্য নয় বলে মনে করছেন ভালুকার সুশীল সমাজ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে জানাযায় কাঁঠের গাড়ী থেকে রেঞ্জের পিউন হানিফের মাধ্যমে ১০০/২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় সহ এবং কুদরত এ খুদার মাধ্যমে কড়াত কল থেকে নিয়মিত নিচ্ছেন মাসোহারা। জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর বিটের গোপীনাথপুর বনবিভাগের বনের গেজেটকৃত (১৮৫ নং) দাগে বনবিভাগের রোপণকৃত আকাশমনি গাছ উথুরা রেঞ্জ কর্মকতা হারুন অর রশীদ ও এনায়েতপুর বিট ফরেষ্টার আব্দুল হামিদ টেন্ডার আহ্বান না করে গুপনে আঁতাত করে দখলদার ছাইফুল ইসলাম কে গাছ কাটার নির্দেশ দেয়।

এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। জানা যায়, উথুরা রেঞ্জের অধীনে আঙ্গার গাড়া বিটের আওতায় বিট অফিসের দক্ষিণ পাশে আঙ্গার গাড়া মৌজার (১৯৫ নং দাগে) জবরদখল করে বন গেজেটকৃত ভূমিতে বাউন্ডারী নির্মাণ হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, উথুরা রেঞ্জ কর্মকতা হারুন অর রশীদ ও এস সি এফ হারুন এর যোগসাজশে ঢাকা সাভারের এক কোম্পানী ডিমারগেসন বিহীন বাউন্ডারীর ভিতরে বন-বিজ্ঞপ্তীর প্রায় দুই আড়াই একর বনভূমি দখলে নিয়ে নেয়।

এতে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও এস সি এফ হারুন ৩০/৪০ লক্ষ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। উথুরা রেঞ্জের আওতায় অনেক গরীব দুঃখি লোকজন জানিয়েছেন বন বিভাগকে টাকা দিলে ঘড় নির্মাণ করা যায় আর টাকা না দিলে মামলা সহ ঘড়বাড়ী ভেংগে দেয়। প্রতিনিয়ত গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষকে প্রেস সচিবের বাবা পরিচয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এই রেঞ্জার হারুন অর রশীদ। তিনি এখন উথুরা রেঞ্জে প্রেস সচিবের বাবা হিসাবে সকলের কাছেই আতঙ্কের দ্বিতীয় নাম। এমনকি সাংবাদিকগণকেও হুমকি দিয়ে বলে “বেটা তোমরা কিসের সাংবাদিক? আমার ছেলে প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব”।

রেঞ্জার হারুন অর রশীদের কাছে তথ্য জানতে চাইলে মামলা দেওয়ার হুমকি ধামকি ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। কিন্তু এলাকার জনসাধারণ ও সাংবাদিকরা এই রেঞ্জারের ছেলে যে প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব তার আদি অন্ত এখনো খুজে পায়নি। সাধারণ মানুষ তার মিথ্যা মামলার ফাঁদে পরে নিস্ব হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছন কতিপয় এলাকাবাসী। এমন নাজেহাল পরিস্থিতিতে উথুরার জনসাধারণ একাদিকবার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যপারে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলেন বলে ফোন কেটে দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

ভালুকা উথুরা রেঞ্জার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:৪৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিবের বাবা পরিচয় দিয়ে উথুরা রেঞ্জার হারুন অর রশিদ পর্দার আড়ালে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন নানা রকম দুর্নীতি আর সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘড় বাড়ী ভেংগে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাকিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।জনসাধারণের পৈতৃক ভিটার গাছপালা আটক দিয়ে কাঁঠ, বাঁশ বিক্রয় করে সরকারকে দেখাচ্ছেন রাজস্ব আর গরীব দুখি মানুষকে হারাতে হচ্ছে তাদের শেষ সহায় সম্বল বসতভিটা যা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরীক হিসাবে কাম্য নয় বলে মনে করছেন ভালুকার সুশীল সমাজ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে জানাযায় কাঁঠের গাড়ী থেকে রেঞ্জের পিউন হানিফের মাধ্যমে ১০০/২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় সহ এবং কুদরত এ খুদার মাধ্যমে কড়াত কল থেকে নিয়মিত নিচ্ছেন মাসোহারা। জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর বিটের গোপীনাথপুর বনবিভাগের বনের গেজেটকৃত (১৮৫ নং) দাগে বনবিভাগের রোপণকৃত আকাশমনি গাছ উথুরা রেঞ্জ কর্মকতা হারুন অর রশীদ ও এনায়েতপুর বিট ফরেষ্টার আব্দুল হামিদ টেন্ডার আহ্বান না করে গুপনে আঁতাত করে দখলদার ছাইফুল ইসলাম কে গাছ কাটার নির্দেশ দেয়।

এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। জানা যায়, উথুরা রেঞ্জের অধীনে আঙ্গার গাড়া বিটের আওতায় বিট অফিসের দক্ষিণ পাশে আঙ্গার গাড়া মৌজার (১৯৫ নং দাগে) জবরদখল করে বন গেজেটকৃত ভূমিতে বাউন্ডারী নির্মাণ হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, উথুরা রেঞ্জ কর্মকতা হারুন অর রশীদ ও এস সি এফ হারুন এর যোগসাজশে ঢাকা সাভারের এক কোম্পানী ডিমারগেসন বিহীন বাউন্ডারীর ভিতরে বন-বিজ্ঞপ্তীর প্রায় দুই আড়াই একর বনভূমি দখলে নিয়ে নেয়।

এতে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও এস সি এফ হারুন ৩০/৪০ লক্ষ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। উথুরা রেঞ্জের আওতায় অনেক গরীব দুঃখি লোকজন জানিয়েছেন বন বিভাগকে টাকা দিলে ঘড় নির্মাণ করা যায় আর টাকা না দিলে মামলা সহ ঘড়বাড়ী ভেংগে দেয়। প্রতিনিয়ত গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষকে প্রেস সচিবের বাবা পরিচয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এই রেঞ্জার হারুন অর রশীদ। তিনি এখন উথুরা রেঞ্জে প্রেস সচিবের বাবা হিসাবে সকলের কাছেই আতঙ্কের দ্বিতীয় নাম। এমনকি সাংবাদিকগণকেও হুমকি দিয়ে বলে “বেটা তোমরা কিসের সাংবাদিক? আমার ছেলে প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব”।

রেঞ্জার হারুন অর রশীদের কাছে তথ্য জানতে চাইলে মামলা দেওয়ার হুমকি ধামকি ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। কিন্তু এলাকার জনসাধারণ ও সাংবাদিকরা এই রেঞ্জারের ছেলে যে প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব তার আদি অন্ত এখনো খুজে পায়নি। সাধারণ মানুষ তার মিথ্যা মামলার ফাঁদে পরে নিস্ব হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছন কতিপয় এলাকাবাসী। এমন নাজেহাল পরিস্থিতিতে উথুরার জনসাধারণ একাদিকবার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যপারে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলেন বলে ফোন কেটে দেন।