ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা যোগ্য প্রার্থীর পথ উন্মুক্ত হবে নির্বাচনে ফিরবে স্বচ্ছতা

সংসদসহ যেকোনো নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে যারা যোগ্য ও সৎ, কিন্তু ক্ষমতাধর নন; এমন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রাজনৈতিক দল না থাকা ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সক্ষমতায় ঘাটতি থাকা, প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে সবল দলগুলোর প্রভাবশালীরা কিডন্যাপ ও বাধা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট থাকেন।

এ ধরনের সংস্কৃতি গত কয়েক বছর ধরে প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সমঝোতা ও চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-কিতাবে গরমিল হওয়ায় নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে জ্বালাও-পোড়াওয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এসব নানা ইস্যুতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অংশগ্রহণকারী দল ও দলনিরপেক্ষ প্রার্থীদের জন্য কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব প্রার্থীর সুযোগ রাখতে অনলাইনে (তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়) মনোনয়নপত্র জমার বিধান চালু করতে চাইছে।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল এ সময় পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক (ব্রডব্যান্ড) নিশ্চিত রাখতে পরামর্শ দিয়েছে ইসিকে। ইসি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এই উদ্যোগে একটি জায়গায় অভিন্ন মত পোষণ করেছেন, যার মাধ্যমে পেশিশক্তি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল সেটা বন্ধ হবে। যোগ্য ও সজ্জন ব্যক্তিরা নির্বাচন বিমুখী হয়েছিলেন তারা আগামীতে ভোটে প্রার্থী হতে অনুপ্রেরণা পাবেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক কবির হোসেন শান্তকে বলেন, ‘সবকিছুই বর্তমানে অনলাইনে হচ্ছে।

নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার বিধান চালুর বিষয়টি ইতিবাচক। এর আগে আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ সরকারের সময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হতো। বর্তমানে এই সংস্কৃতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ প্রসঙ্গে বলেন, কমিশনকে আমরা সাধুবাদ জানাই এ ধরনের মহতী কর্মকাণ্ডের জন্য। অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত হয়ে দুই পন্থায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনের ইতিবাচক দিক হচ্ছে, মনোনয়নপত্র জমার দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘিরে এক ধরনের ভিড় ও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়।

আগের পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভব ঘটে, নতুন পদ্ধতিতে সে ক্ষেত্রে ভালো হবে। কারো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকানোর জন্য প্রতিপক্ষের পেশিবাজি বন্ধ হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি তো এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এই প্রক্রিয়ায় কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। মনোনয়নপত্র জমা দিতে শোডাউন করে যেতে সক্ষম নন, তারা এর মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি সবাইর (সবল-দুর্বল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও পেশিশক্তির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে যে দৌরাত্ম্য বাড়ে তা কমবে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে একধরনের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রভাবশালীদের আচরণবিধি ভেঙে ফরম জমা দেওয়া বিব্রতকর হন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ইসির নীতি-নির্ধারণী কর্মকর্তা। আবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে দুর্বল প্রার্থীকে ক্ষমতাধর প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় বাধা। এমনকি পুলিশকে দিয়ে হয়রানির অভিযোগও আসে অহরহ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গত সোমবার নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর। সব প্রার্থী ও দলের জন্য সমান সুযোগ রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি। এ জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিধানটি চালু করতে একটা প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। আসন্ন কমিশন সভায় উত্থাপন হবে সবাই একমত হলে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রথমে পাইলটিং হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদসহ ছোট পরিসরের নির্বাচনে শুরু করা হবে। এখানকার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সংসদ নির্বাচনে কার্যকর করা হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের পার্টি।

প্রসঙ্গত জানতে চাইলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাড. মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে কালো টাকার মালিকদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমবে। সব ধরনের নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করতে হবে। কেউ অনলাইনে আর কেউ সরাসরি দাখিল করলে শোডাউন দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পথ বন্ধ হবে না। বলেন, সরকারি দলের বা প্রভাবশালী অনেক প্রার্থী অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলে অন্য প্রার্থীদের বাধা প্রদান করে যা নিয়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাদের অপতৎপরতা বন্ধে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিলের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা যোগ্য প্রার্থীর পথ উন্মুক্ত হবে নির্বাচনে ফিরবে স্বচ্ছতা

আপডেট সময় ১০:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

সংসদসহ যেকোনো নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে যারা যোগ্য ও সৎ, কিন্তু ক্ষমতাধর নন; এমন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রাজনৈতিক দল না থাকা ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সক্ষমতায় ঘাটতি থাকা, প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে সবল দলগুলোর প্রভাবশালীরা কিডন্যাপ ও বাধা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট থাকেন।

এ ধরনের সংস্কৃতি গত কয়েক বছর ধরে প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সমঝোতা ও চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-কিতাবে গরমিল হওয়ায় নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে জ্বালাও-পোড়াওয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এসব নানা ইস্যুতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অংশগ্রহণকারী দল ও দলনিরপেক্ষ প্রার্থীদের জন্য কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব প্রার্থীর সুযোগ রাখতে অনলাইনে (তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়) মনোনয়নপত্র জমার বিধান চালু করতে চাইছে।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল এ সময় পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক (ব্রডব্যান্ড) নিশ্চিত রাখতে পরামর্শ দিয়েছে ইসিকে। ইসি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এই উদ্যোগে একটি জায়গায় অভিন্ন মত পোষণ করেছেন, যার মাধ্যমে পেশিশক্তি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল সেটা বন্ধ হবে। যোগ্য ও সজ্জন ব্যক্তিরা নির্বাচন বিমুখী হয়েছিলেন তারা আগামীতে ভোটে প্রার্থী হতে অনুপ্রেরণা পাবেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক কবির হোসেন শান্তকে বলেন, ‘সবকিছুই বর্তমানে অনলাইনে হচ্ছে।

নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার বিধান চালুর বিষয়টি ইতিবাচক। এর আগে আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ সরকারের সময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হতো। বর্তমানে এই সংস্কৃতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ প্রসঙ্গে বলেন, কমিশনকে আমরা সাধুবাদ জানাই এ ধরনের মহতী কর্মকাণ্ডের জন্য। অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত হয়ে দুই পন্থায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনের ইতিবাচক দিক হচ্ছে, মনোনয়নপত্র জমার দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘিরে এক ধরনের ভিড় ও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়।

আগের পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভব ঘটে, নতুন পদ্ধতিতে সে ক্ষেত্রে ভালো হবে। কারো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকানোর জন্য প্রতিপক্ষের পেশিবাজি বন্ধ হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি তো এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এই প্রক্রিয়ায় কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। মনোনয়নপত্র জমা দিতে শোডাউন করে যেতে সক্ষম নন, তারা এর মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি সবাইর (সবল-দুর্বল) অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও পেশিশক্তির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে যে দৌরাত্ম্য বাড়ে তা কমবে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে একধরনের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রভাবশালীদের আচরণবিধি ভেঙে ফরম জমা দেওয়া বিব্রতকর হন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ইসির নীতি-নির্ধারণী কর্মকর্তা। আবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে দুর্বল প্রার্থীকে ক্ষমতাধর প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় বাধা। এমনকি পুলিশকে দিয়ে হয়রানির অভিযোগও আসে অহরহ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গত সোমবার নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর। সব প্রার্থী ও দলের জন্য সমান সুযোগ রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি। এ জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিধানটি চালু করতে একটা প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। আসন্ন কমিশন সভায় উত্থাপন হবে সবাই একমত হলে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রথমে পাইলটিং হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদসহ ছোট পরিসরের নির্বাচনে শুরু করা হবে। এখানকার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সংসদ নির্বাচনে কার্যকর করা হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের পার্টি।

প্রসঙ্গত জানতে চাইলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাড. মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে কালো টাকার মালিকদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমবে। সব ধরনের নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করতে হবে। কেউ অনলাইনে আর কেউ সরাসরি দাখিল করলে শোডাউন দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পথ বন্ধ হবে না। বলেন, সরকারি দলের বা প্রভাবশালী অনেক প্রার্থী অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলে অন্য প্রার্থীদের বাধা প্রদান করে যা নিয়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাদের অপতৎপরতা বন্ধে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিলের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।