ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যর সাথে জড়িয়ে আছে ৫৫৩ বছরের নানুয়া দীঘি

শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে উপমহাদেশে সুপরিচিত। শিক্ষা বিস্তারে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক-বাহক কুমিল্লা। কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যর সাথে জড়িয়ে আছে ৫৫৩ বছরের নানুয়ার দীঘি। শহরের মুরাদপুরে অবস্থিত এ বিশাল আকারের দীঘিটি। নানুয়া দীঘিকে নগরীর ঐতিহ্যের বাহক বলা হয়ে থাকে।

এ দীঘি ধারণ করে চলেছে কুমিল্লাসহ দেশের অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য। নানুয়া দীঘির পাড়ে একসময় বসবাস ছিল দেশের বিশিষ্টজনদের। কেউ দীঘিতে গোসল করে, সাঁতার কাটে, পাড়ে হাঁটে, বসে আড্ডা দেয়। দীঘির উত্তর পাড়ে দাঁড়ালে বাতাস দেহমনে দোল দিয়ে যায়। রাতে দীঘির পাড়ের রঙিন আলোয় বর্ণিল পরিবেশের সৃষ্টি করে। কুমিল্লা ত্রিপুরা রাজ্যের অধীনে ছিল। রাজা ধর্মমাণিক্য বাহাদুর তার স্ত্রী নানুয়া দেবীর নামে নানুয়া দীঘি খনন করেন। নানুয়া দীঘির আয়তন ১৬ একর।

এ দীঘির পাড়ের বাসিন্দা জেলার প্রথম গ্রাজুয়েট মোহিনী মোহন দত্ত। তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় আদালতে শুনানির আবেদন জানান। নবীনগরের জমিদার অনঙ্গ নাহারের বাড়ি এখানেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ইকবাল আহমেদ বাচ্চু, প্রয়াত সমবায়ী জাহানারা বেগম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের ৩০ বছরের চেয়ারম্যান খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরীর বাড়ি এখানে। দীঘির পাড়ে বাড়ি লেখক সুলতান মাহমুদ মজুদারের। তার সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল।

এ পরিবারের সন্তান সাবেক মুখ্য সচিব আলী ইমাম মজুমদার। এর পাড়ের বাসিন্দা প্রয়াত নৌ-পরিবহনমন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেন ও কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দীঘির পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের পরিবারের সদস্য কাজী ফখরুল আলম।

তিনি জানান, এ দীঘির পাড়ে ১৯৫১ সাল থেকে তার পরিবারের বসবাস। এ দীঘির স্বচ্ছ জলে মিশে আছে তাদের আনন্দঘন শৈশব। সেসব দিন তিনি খুব মিস করেন। বর্তমানে নানুয়া দীঘির পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে ও সকাল বিকেলে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করে দেওয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যর সাথে জড়িয়ে আছে ৫৫৩ বছরের নানুয়া দীঘি

আপডেট সময় ১০:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে উপমহাদেশে সুপরিচিত। শিক্ষা বিস্তারে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক-বাহক কুমিল্লা। কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যর সাথে জড়িয়ে আছে ৫৫৩ বছরের নানুয়ার দীঘি। শহরের মুরাদপুরে অবস্থিত এ বিশাল আকারের দীঘিটি। নানুয়া দীঘিকে নগরীর ঐতিহ্যের বাহক বলা হয়ে থাকে।

এ দীঘি ধারণ করে চলেছে কুমিল্লাসহ দেশের অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য। নানুয়া দীঘির পাড়ে একসময় বসবাস ছিল দেশের বিশিষ্টজনদের। কেউ দীঘিতে গোসল করে, সাঁতার কাটে, পাড়ে হাঁটে, বসে আড্ডা দেয়। দীঘির উত্তর পাড়ে দাঁড়ালে বাতাস দেহমনে দোল দিয়ে যায়। রাতে দীঘির পাড়ের রঙিন আলোয় বর্ণিল পরিবেশের সৃষ্টি করে। কুমিল্লা ত্রিপুরা রাজ্যের অধীনে ছিল। রাজা ধর্মমাণিক্য বাহাদুর তার স্ত্রী নানুয়া দেবীর নামে নানুয়া দীঘি খনন করেন। নানুয়া দীঘির আয়তন ১৬ একর।

এ দীঘির পাড়ের বাসিন্দা জেলার প্রথম গ্রাজুয়েট মোহিনী মোহন দত্ত। তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় আদালতে শুনানির আবেদন জানান। নবীনগরের জমিদার অনঙ্গ নাহারের বাড়ি এখানেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ইকবাল আহমেদ বাচ্চু, প্রয়াত সমবায়ী জাহানারা বেগম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের ৩০ বছরের চেয়ারম্যান খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরীর বাড়ি এখানে। দীঘির পাড়ে বাড়ি লেখক সুলতান মাহমুদ মজুদারের। তার সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল।

এ পরিবারের সন্তান সাবেক মুখ্য সচিব আলী ইমাম মজুমদার। এর পাড়ের বাসিন্দা প্রয়াত নৌ-পরিবহনমন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেন ও কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দীঘির পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের পরিবারের সদস্য কাজী ফখরুল আলম।

তিনি জানান, এ দীঘির পাড়ে ১৯৫১ সাল থেকে তার পরিবারের বসবাস। এ দীঘির স্বচ্ছ জলে মিশে আছে তাদের আনন্দঘন শৈশব। সেসব দিন তিনি খুব মিস করেন। বর্তমানে নানুয়া দীঘির পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে ও সকাল বিকেলে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করে দেওয়া হয়েছে।