ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৬ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সাত স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব মুসলিম উম্মার অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় জমায়াতে।

আগামী (১৫ জানুয়ারি) রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলিমি শুরার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমায় অংশ নিতে ট্রেন, নৌকা, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাজারো মুসল্লি ইজতেমা মাঠে সমবেত হচ্ছেন। তারা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে ইজতেমা মাঠের নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মুসল্লিদের উদ্দেশে প্রস্তুতিমূলক বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক । তিনি ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের তিন দিন অবস্থানের নিয়মকানুনের বয়ান করেন। বাদ আছর মাওলানা ফারুক বয়ান করবেন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা ইব্রাহিম ও কারী জুবায়ের।

শুক্রবাদ বাদ জুম্মা বয়ান করেন মাওলানা ইসমাইল, বাদ আসর মাওলানা জুবায়ের ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহম্মেদ লাট ও ফারুক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সরজমিন টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গী তুরাগ পাড় মুসল্লিদের ঢল। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলেও বুধবার রাতেই পুরো ইজতেমা ময়দান পুরিপূর্ণ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকেও দল বেধে মুসল্লিরা আসে ইজতেমা ময়দানে। তবে এক খিত্তায় অন্য খিত্তার মুসুল্লিরা জায়গা দখল করায়া ভোগান্তির অভিযোগ করছেন মুসুল্লিরা। গাইবান্ধা জেলার আব্দুল সবুর মিয়া জানান, তাদের জন্য নির্ধারিত ৩৩নং খিত্তায় মুসল্লি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বাটা সু কারখানার সামনের রাস্তায় অবস্থান করছেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা মুসল্লি আশরাফুল আলম বলেন, ময়দানে আমাদের খিত্তা নং-৭৪।

রাতে ময়দানে গিয়ে দেখি পুরো খিত্তায় মুসল্লিতে ঠাসা। খিত্তায় জায়গা না পেয়ে ময়দানের বাইরে অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করে যাচ্ছি। বিদেশি মেহমান : প্রতি বছরের মতো এবারও ইজতেমা ময়দানে কয়েক হাজার বিদেশি মুসল্লি আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ডা. খান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্তত ১৩০টি দেশের ২০ হাজার বিদেশি মেহমান এবারের ইজতেমা ময়দানে অংশ নেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭টি দেশের প্রায় ৩ হাজার বিদেশি মেহমান এসেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যেবক্ষণ করা হবে। এছাড়া স্পেশালাইজড টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ জানায়, মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও সুষ্ঠু যানবাহন চলাচলে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং ২২ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিমান আরোহী বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলতে পারবে।

এ সময়ে ঘোড়াশাল কালীগঞ্জ-পুবাইল হয়ে আসা যানবাহন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব মরকুন (কে-২ ফ্যাক্টরি) পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। খিত্তাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান : আগত মুসল্লিরা যেসব খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), ঢাকা (খিত্তা-৫ থেকে ১৮ ও ২১, ২২, ২৫, ২৭, ২৮, ৩০), রাজশাহী (১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (২০), নাটোর (২৩), নওগাঁ (২৪), নড়াইল (২৬), সিরাজগঞ্জ (২৯), টাঙ্গাইল (৩১), রংপুর (৩২), গাইবান্ধা (৩৩), লালমনিরহাট (৩৪), মুন্সীগঞ্জ (৩৫), যশোর (৩৬), নীলফামারী (৩৭), বগুড়া (৩৮), জয়পুরহাট (৩৯), নারায়ণগঞ্জ (৪০), ফরিদপুর (৪১), ভোলা (৪২), নরসিংদী (৪৩), সাতক্ষীরা (৪৪), বাগেরহাট (৪৫), কুষ্টিয়া (৪৬), মেহেরপুর (৪৭), চুয়াডাঙ্গা (৪৮), ময়মনসিংহ (৪৯, ৫১), শেরপুর (৫০), জামালপুর (৫২), গোপালগঞ্জ (৫৩), কিশোরগঞ্জ (৫৪), নেত্রকোনা (৫৫), ঝালকাঠি (৫৬), বান্দরবান (৫৭), বরিশাল (৫৮), পিরোজপুর (৫৯), হবিগঞ্জ (৬০), কক্সবাজার (৬১), সিলেট (৬২), সুনামগঞ্জ (৬৩), ফেনী (৬৪), নোয়াখালী (৬৫), লক্ষ্মীপুর (৬৬), চাঁদপুর (৬৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৬৮), খুলনা (৬৯), পটুয়াখালী (৭০), বরগুনা (৭১), চট্টগ্রাম (৭৪), কুমিল্লা (৭৫), তুরাগ নদের পশ্চিমপাড় কাঁচাবাজারে মৌলভীবাজার (৭৬), রাজবাড়ী (৭৭), মাদারীপুর (৭৮), শরীয়তপুর (৭৯), মানিকগঞ্জ (৮০, সাফা টাওয়ার), রাঙ্গামাটি (-৮১), খাগড়াছড়ি (৮২), দিনাজপুর (৮৩), পাবনা (৮৪), ঠাকুরগাঁও (৮৫), ঝিনাইদহ (৮৭, যমুনা প্লট), মাগুরা (৮৮, যমুনা প্লট), কুড়িগ্রাম (৮৯, কামারপাড়া বেড়িবাঁধ বঙ্গবন্ধু মাঠ) ও পঞ্চগড় (৯০, কামারপাড়া হাইস্কুল মাঠ-বধির স্কুল ভবন)। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতরা নির্দিষ্ট খিত্তার আওতাভুক্ত জায়গায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

এছাড়াও ময়দানের চারপাশে ১১ ও ১২ নম্বর খিত্তার কিছু অংশ, ৩২ ও ৩৭ নম্বর খিত্তার মাঝামাঝি ১২, ৭২, ৭৩, ৮৬ ও ৯১ নম্বর খিত্তা সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে। বিশেষ ট্রেন সার্ভিস : বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শুক্রবার ও দ্বিতীয় পর্বের শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-ঢাকা রুটে জুমা স্পেশাল পরিচালিত হবে। যা ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়ে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে টঙ্গী পৌঁছবে। একইভাবে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে টঙ্গী থেকে ছেড়ে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছবে। এছাড়া ১৪ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি জামালপুর থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে বিশেষ ট্রেন চলবে, যা সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জামালপুর থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে ছেড়ে এসে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে পৌঁছবে। বলে জানান টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু

আপডেট সময় ০৮:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৬ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সাত স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব মুসলিম উম্মার অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় জমায়াতে।

আগামী (১৫ জানুয়ারি) রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলিমি শুরার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমায় অংশ নিতে ট্রেন, নৌকা, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাজারো মুসল্লি ইজতেমা মাঠে সমবেত হচ্ছেন। তারা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে ইজতেমা মাঠের নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মুসল্লিদের উদ্দেশে প্রস্তুতিমূলক বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক । তিনি ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের তিন দিন অবস্থানের নিয়মকানুনের বয়ান করেন। বাদ আছর মাওলানা ফারুক বয়ান করবেন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা ইব্রাহিম ও কারী জুবায়ের।

শুক্রবাদ বাদ জুম্মা বয়ান করেন মাওলানা ইসমাইল, বাদ আসর মাওলানা জুবায়ের ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহম্মেদ লাট ও ফারুক। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সরজমিন টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গী তুরাগ পাড় মুসল্লিদের ঢল। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলেও বুধবার রাতেই পুরো ইজতেমা ময়দান পুরিপূর্ণ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকেও দল বেধে মুসল্লিরা আসে ইজতেমা ময়দানে। তবে এক খিত্তায় অন্য খিত্তার মুসুল্লিরা জায়গা দখল করায়া ভোগান্তির অভিযোগ করছেন মুসুল্লিরা। গাইবান্ধা জেলার আব্দুল সবুর মিয়া জানান, তাদের জন্য নির্ধারিত ৩৩নং খিত্তায় মুসল্লি পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বাটা সু কারখানার সামনের রাস্তায় অবস্থান করছেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা মুসল্লি আশরাফুল আলম বলেন, ময়দানে আমাদের খিত্তা নং-৭৪।

রাতে ময়দানে গিয়ে দেখি পুরো খিত্তায় মুসল্লিতে ঠাসা। খিত্তায় জায়গা না পেয়ে ময়দানের বাইরে অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করে যাচ্ছি। বিদেশি মেহমান : প্রতি বছরের মতো এবারও ইজতেমা ময়দানে কয়েক হাজার বিদেশি মুসল্লি আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ডা. খান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্তত ১৩০টি দেশের ২০ হাজার বিদেশি মেহমান এবারের ইজতেমা ময়দানে অংশ নেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭টি দেশের প্রায় ৩ হাজার বিদেশি মেহমান এসেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যেবক্ষণ করা হবে। এছাড়া স্পেশালাইজড টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ জানায়, মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও সুষ্ঠু যানবাহন চলাচলে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং ২২ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিমান আরোহী বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলতে পারবে।

এ সময়ে ঘোড়াশাল কালীগঞ্জ-পুবাইল হয়ে আসা যানবাহন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব মরকুন (কে-২ ফ্যাক্টরি) পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। খিত্তাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান : আগত মুসল্লিরা যেসব খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), ঢাকা (খিত্তা-৫ থেকে ১৮ ও ২১, ২২, ২৫, ২৭, ২৮, ৩০), রাজশাহী (১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (২০), নাটোর (২৩), নওগাঁ (২৪), নড়াইল (২৬), সিরাজগঞ্জ (২৯), টাঙ্গাইল (৩১), রংপুর (৩২), গাইবান্ধা (৩৩), লালমনিরহাট (৩৪), মুন্সীগঞ্জ (৩৫), যশোর (৩৬), নীলফামারী (৩৭), বগুড়া (৩৮), জয়পুরহাট (৩৯), নারায়ণগঞ্জ (৪০), ফরিদপুর (৪১), ভোলা (৪২), নরসিংদী (৪৩), সাতক্ষীরা (৪৪), বাগেরহাট (৪৫), কুষ্টিয়া (৪৬), মেহেরপুর (৪৭), চুয়াডাঙ্গা (৪৮), ময়মনসিংহ (৪৯, ৫১), শেরপুর (৫০), জামালপুর (৫২), গোপালগঞ্জ (৫৩), কিশোরগঞ্জ (৫৪), নেত্রকোনা (৫৫), ঝালকাঠি (৫৬), বান্দরবান (৫৭), বরিশাল (৫৮), পিরোজপুর (৫৯), হবিগঞ্জ (৬০), কক্সবাজার (৬১), সিলেট (৬২), সুনামগঞ্জ (৬৩), ফেনী (৬৪), নোয়াখালী (৬৫), লক্ষ্মীপুর (৬৬), চাঁদপুর (৬৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৬৮), খুলনা (৬৯), পটুয়াখালী (৭০), বরগুনা (৭১), চট্টগ্রাম (৭৪), কুমিল্লা (৭৫), তুরাগ নদের পশ্চিমপাড় কাঁচাবাজারে মৌলভীবাজার (৭৬), রাজবাড়ী (৭৭), মাদারীপুর (৭৮), শরীয়তপুর (৭৯), মানিকগঞ্জ (৮০, সাফা টাওয়ার), রাঙ্গামাটি (-৮১), খাগড়াছড়ি (৮২), দিনাজপুর (৮৩), পাবনা (৮৪), ঠাকুরগাঁও (৮৫), ঝিনাইদহ (৮৭, যমুনা প্লট), মাগুরা (৮৮, যমুনা প্লট), কুড়িগ্রাম (৮৯, কামারপাড়া বেড়িবাঁধ বঙ্গবন্ধু মাঠ) ও পঞ্চগড় (৯০, কামারপাড়া হাইস্কুল মাঠ-বধির স্কুল ভবন)। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতরা নির্দিষ্ট খিত্তার আওতাভুক্ত জায়গায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

এছাড়াও ময়দানের চারপাশে ১১ ও ১২ নম্বর খিত্তার কিছু অংশ, ৩২ ও ৩৭ নম্বর খিত্তার মাঝামাঝি ১২, ৭২, ৭৩, ৮৬ ও ৯১ নম্বর খিত্তা সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে। বিশেষ ট্রেন সার্ভিস : বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শুক্রবার ও দ্বিতীয় পর্বের শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-ঢাকা রুটে জুমা স্পেশাল পরিচালিত হবে। যা ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়ে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে টঙ্গী পৌঁছবে। একইভাবে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে টঙ্গী থেকে ছেড়ে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছবে। এছাড়া ১৪ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি জামালপুর থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে বিশেষ ট্রেন চলবে, যা সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জামালপুর থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে ছেড়ে এসে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে পৌঁছবে। বলে জানান টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার।