বরগুনা-বেতাগী জাতীয় সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ, নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজিউন।
দেলোয়ার হোসেন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বরগুনা -১ সংসদীয় আসন (বরগুনা-বেতাগী) থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেলোয়ার হোসেন ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্হায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বরগুনার অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের চিহ্নিত ডাকাতদের সাহসিকতার সঙ্গে দমন করে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। একজন সাহসী ও ত্যাগী নেতা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
২০০১ সালে দলের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকলেও আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি। জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে জোড়ালো ভূমিকাও রাখেন তিনি। পরে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে জেলা পরিষদের প্রশাসক, পরে জেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিলে দেলোয়ার হোসেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু,সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ. রশিদ, আব্দুল মোতালেব মৃধা, বরগুনা পৌরসভার মেয়র আ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, বরগুনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি আ্যাড শাহজাহানসহ দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ শোক জানিয়েছেন।
বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে দুপুর ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নিজ বাড়ি আয়লাপাতাকাটায় বিকেল ৪টার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ বরগুনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক ঘণ্টার জন্য রাখা হয়েছে।