ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

বোতাম টিপলেই হাজির হবে পুলিশ, কলকাতায় নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ

নারীদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি অভিনব লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে, নারীরা চলন্ত গাড়িতেও প্যানিক বোতাম টিপে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের ট্রাফিক দপ্তরও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে নজর রাখবে। সকল বাণিজ্যিক যানবাহনে এই সিস্টেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকল গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের গতির ওপর নজর রাখতে পারবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, চলন্ত গাড়ির ভেতরে কোনও অপরাধ হলে সেটিও নজরদারি করা যেতে পারে। যানবাহনে একটি প্যানিক বোতাম থাকবে, যা টিপলে পুলিশ সতর্ক হবে এবং গাড়ির সন্ধান শুরু করবে। বোতাম টিপলেই পুলিশ ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

মমতা বলেন, এই সিস্টেমের সাহায্যে কলকাতার ভেতরে কোনও যানবাহন শনাক্ত করতে পুলিশের কোনও সমস্যা হবে না। তা সেটি সরকারি হোক বা প্রাইভেট যানবাহন। গাড়ির লোকেশন ট্র্যাকিং এই সিস্টেমটি চালু করেছে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে, প্রথম পর্যায়ে এই সিস্টেমটি ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি যানবাহনে ইনস্টল করা হবে। পরিবহন দপ্তরের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা প্রথম রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ।

যেভাবে কাজ করবে ট্র্যাকিং সিস্টেম

পরিকল্পনা অনুযায়ী সব যানবাহনে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে। এর আওতায় যানবাহনে প্যানিক বোতাম বসানো হবে। জরুরি অবস্থায় কোনও নারী গাড়ির ভেতরে আটকে পড়লে বোতাম টিপলেই পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।

সতর্কতা পাওয়া মাত্রই পুলিশ গাড়িটির খোঁজ শুরু করবে। এছাড়া বোতামে চাপ দেওয়ার পর, পুলিশ গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে। তার কণ্ঠস্বরও শুনতে পাবে। এতে ভিকটিম পর্যন্ত পৌঁছনো এবং তার অবস্থা জানা সহজ হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

বোতাম টিপলেই হাজির হবে পুলিশ, কলকাতায় নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ

আপডেট সময় ০১:২৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নারীদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি অভিনব লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে, নারীরা চলন্ত গাড়িতেও প্যানিক বোতাম টিপে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের ট্রাফিক দপ্তরও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে নজর রাখবে। সকল বাণিজ্যিক যানবাহনে এই সিস্টেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকল গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের গতির ওপর নজর রাখতে পারবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, চলন্ত গাড়ির ভেতরে কোনও অপরাধ হলে সেটিও নজরদারি করা যেতে পারে। যানবাহনে একটি প্যানিক বোতাম থাকবে, যা টিপলে পুলিশ সতর্ক হবে এবং গাড়ির সন্ধান শুরু করবে। বোতাম টিপলেই পুলিশ ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

মমতা বলেন, এই সিস্টেমের সাহায্যে কলকাতার ভেতরে কোনও যানবাহন শনাক্ত করতে পুলিশের কোনও সমস্যা হবে না। তা সেটি সরকারি হোক বা প্রাইভেট যানবাহন। গাড়ির লোকেশন ট্র্যাকিং এই সিস্টেমটি চালু করেছে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে, প্রথম পর্যায়ে এই সিস্টেমটি ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি যানবাহনে ইনস্টল করা হবে। পরিবহন দপ্তরের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা প্রথম রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ।

যেভাবে কাজ করবে ট্র্যাকিং সিস্টেম

পরিকল্পনা অনুযায়ী সব যানবাহনে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে। এর আওতায় যানবাহনে প্যানিক বোতাম বসানো হবে। জরুরি অবস্থায় কোনও নারী গাড়ির ভেতরে আটকে পড়লে বোতাম টিপলেই পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।

সতর্কতা পাওয়া মাত্রই পুলিশ গাড়িটির খোঁজ শুরু করবে। এছাড়া বোতামে চাপ দেওয়ার পর, পুলিশ গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে। তার কণ্ঠস্বরও শুনতে পাবে। এতে ভিকটিম পর্যন্ত পৌঁছনো এবং তার অবস্থা জানা সহজ হবে।