ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

বোতাম টিপলেই হাজির হবে পুলিশ, কলকাতায় নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ

নারীদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি অভিনব লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে, নারীরা চলন্ত গাড়িতেও প্যানিক বোতাম টিপে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের ট্রাফিক দপ্তরও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে নজর রাখবে। সকল বাণিজ্যিক যানবাহনে এই সিস্টেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকল গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের গতির ওপর নজর রাখতে পারবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, চলন্ত গাড়ির ভেতরে কোনও অপরাধ হলে সেটিও নজরদারি করা যেতে পারে। যানবাহনে একটি প্যানিক বোতাম থাকবে, যা টিপলে পুলিশ সতর্ক হবে এবং গাড়ির সন্ধান শুরু করবে। বোতাম টিপলেই পুলিশ ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

মমতা বলেন, এই সিস্টেমের সাহায্যে কলকাতার ভেতরে কোনও যানবাহন শনাক্ত করতে পুলিশের কোনও সমস্যা হবে না। তা সেটি সরকারি হোক বা প্রাইভেট যানবাহন। গাড়ির লোকেশন ট্র্যাকিং এই সিস্টেমটি চালু করেছে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে, প্রথম পর্যায়ে এই সিস্টেমটি ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি যানবাহনে ইনস্টল করা হবে। পরিবহন দপ্তরের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা প্রথম রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ।

যেভাবে কাজ করবে ট্র্যাকিং সিস্টেম

পরিকল্পনা অনুযায়ী সব যানবাহনে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে। এর আওতায় যানবাহনে প্যানিক বোতাম বসানো হবে। জরুরি অবস্থায় কোনও নারী গাড়ির ভেতরে আটকে পড়লে বোতাম টিপলেই পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।

সতর্কতা পাওয়া মাত্রই পুলিশ গাড়িটির খোঁজ শুরু করবে। এছাড়া বোতামে চাপ দেওয়ার পর, পুলিশ গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে। তার কণ্ঠস্বরও শুনতে পাবে। এতে ভিকটিম পর্যন্ত পৌঁছনো এবং তার অবস্থা জানা সহজ হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

বোতাম টিপলেই হাজির হবে পুলিশ, কলকাতায় নারীদের জন্য নতুন উদ্যোগ

আপডেট সময় ০১:২৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নারীদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি অভিনব লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে, নারীরা চলন্ত গাড়িতেও প্যানিক বোতাম টিপে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবেন। পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের ট্রাফিক দপ্তরও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে নজর রাখবে। সকল বাণিজ্যিক যানবাহনে এই সিস্টেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকল গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের গতির ওপর নজর রাখতে পারবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, চলন্ত গাড়ির ভেতরে কোনও অপরাধ হলে সেটিও নজরদারি করা যেতে পারে। যানবাহনে একটি প্যানিক বোতাম থাকবে, যা টিপলে পুলিশ সতর্ক হবে এবং গাড়ির সন্ধান শুরু করবে। বোতাম টিপলেই পুলিশ ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।

মমতা বলেন, এই সিস্টেমের সাহায্যে কলকাতার ভেতরে কোনও যানবাহন শনাক্ত করতে পুলিশের কোনও সমস্যা হবে না। তা সেটি সরকারি হোক বা প্রাইভেট যানবাহন। গাড়ির লোকেশন ট্র্যাকিং এই সিস্টেমটি চালু করেছে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে, প্রথম পর্যায়ে এই সিস্টেমটি ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি যানবাহনে ইনস্টল করা হবে। পরিবহন দপ্তরের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা প্রথম রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ।

যেভাবে কাজ করবে ট্র্যাকিং সিস্টেম

পরিকল্পনা অনুযায়ী সব যানবাহনে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হবে। এর আওতায় যানবাহনে প্যানিক বোতাম বসানো হবে। জরুরি অবস্থায় কোনও নারী গাড়ির ভেতরে আটকে পড়লে বোতাম টিপলেই পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।

সতর্কতা পাওয়া মাত্রই পুলিশ গাড়িটির খোঁজ শুরু করবে। এছাড়া বোতামে চাপ দেওয়ার পর, পুলিশ গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে। তার কণ্ঠস্বরও শুনতে পাবে। এতে ভিকটিম পর্যন্ত পৌঁছনো এবং তার অবস্থা জানা সহজ হবে।