ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক

যশোর শহরের খড়কি এলাকার ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গত সোমবার রাতে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে তাকে আটক করে ও একই সাথে এ হত্যার মুল রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় চাকরির প্রলোভন দেখিযে ইরফানের কাছথেকে টাকা নেয় কাদের। ওই টাকা চাওয়ায় কাদেরের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় ইরফান ফারাজীকে।
পুলিশ আটকের পর ইরফানের কাছথেকে কাদেরের নেয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। কাদের রেলগেট রায়পাড়া এলাকার মজিদের ছেলে। সে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ যশোর পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেয়। এরআগে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া তৌহিদুল নামের আরেক আসামিকে আটক করে র‌্যাব-৬ যশোরের একটি দল। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সে হত্যার নেপথ্যের কাহিনী জানায়। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে তৌহিদুল স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্য ধরে পুলিশ ও ডিবি কাদেরকে আটকে অভিযানে নামে।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন কাদের রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক পুলিশের টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাদেরকে আটক করা হয়। পরে কাদের এ হত্যার নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে। তিনি আরও জানান, মুলত চাকরির কথা বলে তিনলাখ ২০ হাজার টাকা ইরফানের কাছথেকে নেয় কাদের। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় কাদের। একপর্যায় টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরতে থাকে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় ইরফানের সাথে। এর জেরে ইরফানকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাদের। ইরফানকে হত্যার জন্য পাখি, তৌহিদ, রাহুল ও শিশিরের সাথে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে কাদের। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর তারা চাকু নিয়ে কারবালা কবরস্থানের পাশে ফরাজি স্টোরে চিপস কেনার অযুহাতে যেয়ে ইরফানকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ মামলায় তৌহিদুল ও কাদের আটক হলেও পলাতক রয়েছেন পাখি, শিশির ও রাহুল। পুলিশ ও র‌্যাব জানায় তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক

আপডেট সময় ০৯:১৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
যশোর শহরের খড়কি এলাকার ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গত সোমবার রাতে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে তাকে আটক করে ও একই সাথে এ হত্যার মুল রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় চাকরির প্রলোভন দেখিযে ইরফানের কাছথেকে টাকা নেয় কাদের। ওই টাকা চাওয়ায় কাদেরের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় ইরফান ফারাজীকে।
পুলিশ আটকের পর ইরফানের কাছথেকে কাদেরের নেয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। কাদের রেলগেট রায়পাড়া এলাকার মজিদের ছেলে। সে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ যশোর পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেয়। এরআগে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া তৌহিদুল নামের আরেক আসামিকে আটক করে র‌্যাব-৬ যশোরের একটি দল। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সে হত্যার নেপথ্যের কাহিনী জানায়। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে তৌহিদুল স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্য ধরে পুলিশ ও ডিবি কাদেরকে আটকে অভিযানে নামে।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন কাদের রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক পুলিশের টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাদেরকে আটক করা হয়। পরে কাদের এ হত্যার নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে। তিনি আরও জানান, মুলত চাকরির কথা বলে তিনলাখ ২০ হাজার টাকা ইরফানের কাছথেকে নেয় কাদের। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় কাদের। একপর্যায় টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরতে থাকে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় ইরফানের সাথে। এর জেরে ইরফানকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাদের। ইরফানকে হত্যার জন্য পাখি, তৌহিদ, রাহুল ও শিশিরের সাথে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে কাদের। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর তারা চাকু নিয়ে কারবালা কবরস্থানের পাশে ফরাজি স্টোরে চিপস কেনার অযুহাতে যেয়ে ইরফানকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ মামলায় তৌহিদুল ও কাদের আটক হলেও পলাতক রয়েছেন পাখি, শিশির ও রাহুল। পুলিশ ও র‌্যাব জানায় তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।