ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ে গোলরক্ষক সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এবার কাতার বিশ্বকাপে সেটা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দলের এ সাফল্যে বড়সড় অবদান তার। দুর্দান্ত এই গোলরক্ষকের উঠে আসা দেশটির এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে।
ফুটবল খেলে রোজগার করবেন বলে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ খুব ছোটবেলায় চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে যখন সুযোগ পেলেন আর্সেনালে, তখন দীর্ঘদিন থেকেও মাত্র আটটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথম দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার।। এরপর ২০২০ সালে পেলেন অস্টন ভিলার প্রস্তাব। ব্যাস, বদলে গেল জীবন।
আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মার্টিনেজকে। প্রথম দলে নিয়মিত জায়গা করে নিলেন। ডাক পেলেন জাতীয় দল আর্জেন্টিনায়। লিওনেল স্কালোনি কোচ হয়ে আসার পর থেকে মার্টিনেজ আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের নিচে পাকা জায়গা পেয়ে গেলেন। প্রথমে কোপা আমেরিকা তারপর এবার বিশ্বকাপ। মেসিদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির এই গোলরক্ষকের অবদান ভোলা যাবে না।
তাছাড়া মিউনিখ একজন দক্ষ ব্যাকআপ গোলরক্ষক সন্ধান করছিল। মার্টিনেজ তাদের প্রভাবিত করেছে। তাই ইংলিশ ক্লাব অস্টন ভিলার সঙ্গে চুক্তি থাকলেও তার এজেন্ট এবং তিনি নিজে এই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। এমির লক্ষ্য সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা।
সেটা ভিলায় সম্ভব নয়। এমনিতেই মার্টিনেজের বয়স এখন ৩১। তাই শেষ কয়েকটা বছর যদি বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবে খেলে কাটাতে পারেন তার থেকে ভালো কী হতে পারে? জার্মান ক্লাব তার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার প্রস্তাব রেখেছে। শোনা যাচ্ছে ইংলিশ ক্লাব তাদের জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে এমির বদলি খোঁজা শুরু করে দিয়েছে। যতই অঙ্গভঙ্গি এবং এমবাপেকে নকল করে শিরোনামে আসুন মার্টিনেজ, ফুটবল দুনিয়ায় তার চাহিদা এই মুহূর্তে তুঙ্গে।