বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি রূপরেখা দিয়েছে। কিন্তু সরকার ও সরকারের সহযোগীরা এটা ভালো চোখে দেখছে না। তাদের ভালো না লাগারই কথা। কারণ, এই রূপরেখা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। মানুষের স্বাধীনতা আসবে। দুর্নীতিবাজ, হত্যা-লুণ্ঠনকারীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফায় ভয় পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যদি আনতে হয় তাহলে ১৯৭১ সালের কর্মসূচি– গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, অর্থনীতির মুক্তির লক্ষ্যে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা ডিসেম্বর মাস, এই মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানি আদলে চলুক এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। কারণ, পাকিস্তানিরা গণতন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছে। স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে পরাজিত হয়েছে, সেই জায়গায় আমরা যেতে চাই না।’
কর্তৃত্ববাদী শাসক গণতন্ত্রের কাছে পরাজিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে তারা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এটা পাকিস্তানিরাও মনে করেছিল, কিন্তু তারা পরাজিত হয়েছে। এখন যারা মনে করছেন আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন তাদের বলি, গণতন্ত্র কখনও পরাজিত হয় না। গণতন্ত্রের কাছে কর্তৃত্ববাদী শাসক সবসময় পরাজিত হয়।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাস তিনি কারাবন্দি ছিলেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। সাংবিধানিকভাবে তিনি জামিন পান। কিন্তু এখনও তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি তার মুক্তির দাবি করছি। বিএনপি মহাসচিবসহ এ পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের সবার মুক্তি দাবি করছি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহ, জিনাব’র সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।