সাধারণত বিজিত দলের কোচই সম্মেলনে আগে আসেন। আজকের ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্রোয়েশিয়ান কোচ দালিচ সম্মেলন করে যাওয়ার পরেও দেখা নেই ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতের। ক্রোয়েশিয়ার সম্মেলন হওয়ার মিনিট পনেরো পর কোচিং স্টাফ সহ দলবদলেই এলেন নেইমারদের গুরু। সম্মেলনের ছোট কক্ষে মাঝের চেয়ারে বসা তিতের চেহারায় চাপটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছিল।
সবচেয়ে বেশি বারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। ছয় বছর ধরে দায়িত্বে। দুই বিশ্বকাপে নেইমারদের ডাগ আউটে ছিলেন। দুই বারই শেষ আট থেকে বিদায়। বিশ্বকাপের মঞ্চ খেলোয়াড়দের যেমন আনন্দ-বেদনার, কোচদের চাকরি যাওয়া এবং ছাড়ারও মঞ্চ। দুই ব্যর্থতার পর পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্ন হয়েছিল তিতেকে।
বিগত সম্মেলনগুলোতে তিতে হাস্যরস ও দার্শনিকতার মিশেলে উত্তর দিলেও এই প্রশ্নের মন্তব্য দিলেন একটু বিরক্ত হয়েই বললেন, ‘আমি এক বছর আগেই তো ঘোষণা দিয়েছি। এই বিশ্বকাপের পর থাকব না। আজকের ম্যাচ হারা জেতার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বিশ্বকাপে ইতিবাচক ফল হলেও আমি থাকতাম না।’
ব্রাজিলের এবারের দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। সেই দল শক্তিসামর্থ্যে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হারল। এই হারের জন্য ব্রাজিলিয়ান কোচ কাউকে ভিলেন বানাতে চান না, ‘কেউ এককভাবে ভিলেন নয়, সবাই দায়ী। কোচ হিসেবে আমারও দায় আছে, আমারও একক দায়, সকলই দায়ী।’
দায় নেয়ার পাশাপাশি হারকে মেনে নিয়েছেন তিনি, ‘দিন শেষে আপনাকে ফলাফলকে সম্মান করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
ব্রাজিলকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খুব বেশি সংগঠিত দেখা যায়নি। এই মতের সঙ্গে একমত নন ব্রাজিলের কোচ, ‘আমরা যথেষ্ট সংগঠিতই ছিলাম। তাদেরকে যথেষ্ট চাপে রেখেছি। অন শট টার্গেট এবং আক্রমণ আমাদেরই বেশি ছিল। অন্য দিকে আমাদের পোস্টে তাদের শটও কম ছিল।’